শিরোনাম: |
‘বিয়ের চাপ দেয়ায় ভাবীকে ও ভাতিজাকে হত্যা’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৭১ সংবাদ ডট কম :
|
![]() সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপজেলার উত্তর কাওন্নারা গ্রামের মজনু মিয়া প্রবাসে থাকার সুবাধে তার স্ত্রী দেবর সোলাইমান হোসেনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। মালয়েশিয়া থেকে পড়াশুনা করে গত তিন মাস আগে সোলাইমান দেশে ফিরে আসলে পারভীনের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক আরও গভীর হয়। ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে সোলাইমান হোসেন পারভীন আক্তারের ঘরে প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্কের এক পর্যায়ে পারভীন সোলাইমানকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। সোলায়মান বিয়েতে রাজী না হলে পারভীন আক্তার তার দুই ছেলে, স্বামী ও সোলাইমানকে হত্যার হুমকি দেন। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সোলাইমান ঘরে থাকা ধারাল ছুরি দিয়ে পারভীনের গলা কেটে হত্যা করেন। এসময় ভতিজা নুর হোসেন জেগে উঠলে তাকেও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন তিনি। পরে রক্তমাখা চাকু ও তার পরিহিত কাপড় ধুয়ে নিজ ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। একই দিন পুলিশ সোলাইমান হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৯ এর বিচারক জান্নাতুল রাফিন সুলতানের কাছে সোলাইমান হোসেন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই দিন রাতেই তাকে আদালত থেকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোলাইমান ভাবী ও ভাতিজা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে পুলিশের কাছেও স্বীকার করেন।
|