শিরোনাম: |
মির্জাগঞ্জে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৭১ সংবাদ ডট কম :
|
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই স্থায়ী শহীদ মিনার নেই। সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা এবং কলেজ মিলে ২৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬১ টিতেই নাই স্থায়ী শহীদ মিনার। ২১শে ফেব্রুয়ারী আর্ন্তজাতিক মার্তৃভাষা দিবসের তাৎপর্য, ইতিহাস এবং এর গুরুত্ব সর্ম্পকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা। একদিকে সরকারি তহবিলের অভাব অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির অবহেলার কারনে এসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরি হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। উপজেলা শহরের কাছাকাছি প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দিবসটি পালন করলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যেগে কলাগাছ, বাঁশ, কাগজ ও কাদাঁমাটি দিয়ে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার তৈরী করে পালন করছে শহীদ দিবস।উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, মির্জাগঞ্জ উপজেলায় সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা এবং কলেজ মিলে ২৩০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উপজেলার মোট ৭টি কলেজের মধ্যে ৬টি, ১৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯৮টি, ৩২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮ টি, ৩০টি মাদ্রাসা ও ১৯ টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার মধ্যে একটিতেও স্থায়ী কোন শহীদ মিনার নেই। উপজেলা শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, মির্জাগঞ্জে ১৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৪ টি বিদ্যালয়ে স্থানীয় এবং প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব উদ্যোগে শহীদ মিনার তৈরী করা হয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে অতি দ্রুত শহীদ মিনার নির্মান করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শহীদ মিনারের জন্য সরকারি কোন বরাদ্দ না থাকায় সকল প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরী করা সম্ভব হয়নি। তবে নিজ উদ্যেগে অনেক প্রতিষ্ঠান শহীদ মিনার নির্মান করছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, এলাকার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকার ফলে মহান আর্ন্তজাতিক মার্তৃভাষা দিবস সহ সকল দিবস গ্রাম অঞ্চলে নিরবে পেড়িয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা ওই দিবসগুলোর তাৎপর্য, ইতিহাস ও গুরুত্ব সর্ম্পকে অজ্ঞতাই থেকে যায়। তবে এলাকার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মানের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। |