শিরোনাম: |
গ্রাম হবে শহর এ সুবিধায় ১৬টি গ্রামকে বাস্তবায়ন -কালের কন্ঠ মুখোমুখী
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৭১ সংবাদ ডট কম :
|
গ্রামের সাধারণ মানুষকে শহরের সুবিধা দিয়ে গ্রামকে শহর বানানোর জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারেই বলা হয়েছে- গ্রামকে শহরের সুবিধা দেওয়া হবে। আমরা ১৬টি গ্রামকে প্রাথমিকভাবে বেছে নিয়েছি। আদর্শ প্রকল্প হিসেবে এটি প্রথমে বাস্তবায়ন করা হবে। তারপর সম্প্রসারণ করা হবে আরো বিভিন্ন এলাকায়। এজন্য গ্রামের মানুষেরা কি কি সুবিধা চায় তা তাদের কাছ থেকেই আমরা জেনে নিয়েছি। তাদের কাছ থেকে মতামত পাবার পর প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে কাজ চলছে। ঢাকার ৫০টি থানায় ‘মিল্কভিটা কর্ণার’ স্থাপন করা হবে। মুজিববর্ষ সামনে রেখে নেওয়া এ পরিকল্পনার আওতায় এ ধরনের কর্ণার হবে মুলত বিক্রয়কেন্দ্র। এসব বিক্রয়কেন্দ্রে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি করা হবে। গ্রামীণ সংযোগ সড়ক উন্নয়নের জন্যও ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্য্য ‘কালের কণ্ঠ মন্ত্রীর মুখোমুখি’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন। কালের কণ্ঠের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক পার্থ সারথি দাসের সঞ্চালনায় মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় কালের কণ্ঠের ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত এ অনুষ্ঠানে স্বপন ভট্টাচার্য্য বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলেন। তিনি মুজিববর্ষ সামনে রেখে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মসুচি ও গত এক বছরে মন্ত্রণালয়ের অর্জন নিয়ে তার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের আত্মপরিচয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন। বাঙালী জাতি হিসেবে আমরা তাঁর জন্যই আজ আত্মপরিচয় দিতে পারছি। মুজিববর্ষ সামনে রেখে কেন্দ্রিয় পরিকল্পনা তো আছেই। তার পাশাপাশি আমরা আমাদের মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধীনে বিভিন্ন কর্মসুচি বা উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ঢাকার ৫০টি থানায় ৫০টি মিল্কভিটা কর্ণার স্থাপন করা হবে। প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে দুই জন নারী বিক্রয়কর্মী থাকবেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মিল্কভিটা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাই তাঁর জন্মশত বার্ষিকীতে আমরা মিল্কভিটার সেবা দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে চাইছি। ঢাকায় ৫০টি বিক্রয়কেন্দ্রে ১০০ জন বিক্রয়কর্মী থাকবেন। এছাড়া মিল্কভিটার মুল কারখানা সিরাজগঞ্জ। তৃণমুল পর্যায় থেকে দুধ সরবরাহে খরচ বেশি, দুগ্ধ ব্যবসায়ীরাও নায্যমুল্য পান না। সরবরাহ ব্যয় বেশি হওয়ায় লাভজনক হওয়ার ক্ষেত্রে তা ঝুঁকিতে ফেলছে। এ কারণে মাঝারি ও ক্ষুদ্র কারখানা করা হবে। তাতে দাম কম হবে। এক্ষেত্রে সব ধরনের সুযোগ সুবিধাও তৈরি করা হবে যাতে দুগ্ধখাত বিকশিত হয়। বিআরডিবির একটি তাৎপর্যপুর্ণ প্রকল্প আছে। তাদের ও গ্রামীণ জনগণের অংশগ্রহণে মুল সড়ক থেকে সংযোগ সড়ক নির্মাণ ও উন্নয়নে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। গ্রামের মানুষজন বাড়ি থেকে বের হয়ে কমিউনিটি সেন্টার, মসজিদ, মন্দির, কবর, শ্মশান, স্কুল ও অন্যান্য জায়গায় চলাচলের জন্য সংযোগ সড়ক ব্যবহার করতে চায়। এসব সড়ক বেশি দীর্ঘ নয়। এ ধরনের সংযোগ সড়ক করা হচ্ছে গ্রামীন জনপদে। তার কাজ এগিয়ে চলেছে।
|