শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
শিরোনাম: মাত্র ৭১ দিনে পদ্মা ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিম “বিজয় ৭১”       তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি শিল্পের পুঁজিবাজারে প্রবেশের পথ সুগম করতে বেসিস এবং প্রাইম ব্যাংকইনভেস্টমেন্টের চুক্তি স্বাক্ষর       কিস্তিতে মার্সেল ফ্রিজ কিনে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেলেন নোয়াখালীর অটোমেকানিক আলাউদ্দিন       ক্রেনের আঘাতে ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ       নাদিহা আলীর মৃত্যতে বসুন্ধরা পরিবারের শোক       হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহির্গমন লাউঞ্জে যমুনা ব্যাংক পিএলসি এর কর্মশালার আয়োজন       রেপো, লিকুইডিটি সাপোর্ট সুবিধা এবং আইবিএলএফ নিলামের ফলাফল      
মির্জাগঞ্জে বাঁশ শিল্প অস্তিত্ব সংকটে ; কাঁচামালের স্বল্পতায় বাঁশ শিল্প
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৭১ সংবাদ ডট কম :
প্রকাশ: বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৩:০১ পিএম আপডেট: ২৬.০২.২০২০ ৪:৩১ পিএম |

প্লাস্টিক সামগ্রীর প্রসার, প্রয়োজনীয় পুঁজি, পরিকল্পিত উদ্যোগের অভাবে চরম অস্তিত্ব সংকটে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বাঁশ শিল্প। উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর ন্যায্য মূল্য না থাকায় এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের অনেকেই পাল্টাতে শুরু করেছেন পেশা। দারিদ্রতাকে আলিঙ্গন করে পৈত্রিক পুরুষের ঐতিহ্যবাহী পেশাকে যারা আগলে রয়েছেন তারাও রয়েছেন নানা সমস্যায় বাজারে প্রচলিত প্লাস্টিক দ্রব্য সামগ্রীর সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে তারাও হয়ে পড়েছেন কোনঠাসা। ফলে আবহমান বাংলার এ শিল্পের ঐতিহ্য হারানোর পাশাপাশি জেলার বাঁশ শিল্পীদের ভাগ্যে নেমে এসেছে দুর্দিন।

একসময় মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গের মধ্যে বাঁশের তৈরি দ্রব্য সামগ্রীর প্রয়োজনীয়তা ছিল অনেক। কুলা, খাঁচা, চালনি, চাটাই, ডোল, ঝুড়ি, পলো, ডালা প্রভৃতি বাঁশজাত পণ্যের ছিল ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু কালের বিবর্তনে আধুনিক বিজ্ঞানের প্রসারতায় বর্তমানে বাঁশের তৈরি এসব সামগ্রীর অনেক পণ্যই তৈরি করছে প্লাস্টিক পণ্য নির্মাণ প্রতিষ্ঠান। সাশ্রয়ী মূল্যসহ টেকসই ও স্থায়িত্বের কারণে এসব প্লাস্টিক সামগ্রী দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে জনসাধারণের কাছে। ফলে প্রতিনিয়ত কমছে বাঁশের তৈরি পণ্য সামগ্রীর কদর।

উপজেলার গ্রামীণ জনপদে বাঁশের তৈরি সামগ্রী তৈরি হলেও এর বড় একটি অংশের যোগান হত মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে। এক সময়ে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছিল প্রায় শতাধিক বাঁশ শিল্পী পরিবারের বসবাস। বাঁশের সামগ্রী তৈরি করে স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাপনসহ আর্থিক সচ্ছলতা। কিন্তু বিগত কয়েকবছর ধরে বাশঁ শিল্পে বিরাজ করছে চরম মন্দাবস্থা।
একদিকে ব্যবহারকারীর অভাব, অন্যদিকে বাঁশের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাঁশ শিল্পীদের অনেকেই তাদের পৈত্রিক পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পী অনেকটা নিরুপায় হয়ে এ পেশায় টিকে থাকার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ কুটির শিল্পের ওপর নির্ভরশীলতায় যে সব শিল্পীরা রয়েছেন, তারাও অনেকে বেকারত্বসহ আর্থিক দৈন্যতায় মানবেতর জীবনযাপন করছে।

কুমার খোলা গ্রামের বাঁশ শিল্পী গণেশ চন্দ্র হাওলাদার জানান, বাপ দাদার পেশা তাই আকড়ে ধরে আছি। ছেলেমেয়েরা এখন আর এ পেশায় থাকতে চাচ্ছেনা। পরিশ্রম বেশি, লাভ কম। আগের মত চাহিদাও নেই।

বাঁশ শিল্পে জড়িত সুবল মাঝি জানান, বাঁশের দাম বেড়ে গেছে। পুঁজি সংকটও রয়েছে। চাহিদা ও মুনাফা ভাল না থাকায় পরিবারেও যাচ্ছে দুর্দিন।

আধুনিক প্রযুক্তির সামগ্রীর ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এ শিল্পের ক্ষুদ্র বিক্রেতাদেরও যাচ্ছে দুর্দিন। বাঁশের তৈরি সামগ্রীর বিক্রেতা হরেন পাল জানান, এক যুগ আগেও ছিল বাশের সামগ্রীর কদর। পরিবারের দৈনন্দিন কাজে বাঁশের তৈরি কুলা, চালনি, ঝুড়ি, ডালা মানুষ ব্যবহার করত। এখন এসব পণ্য প্লাস্টিকের পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বেচা-বিক্রি খুবই কমে গেছে। এখন খাঁচা, চাটাই, ডোল, পলো এসব বিক্রি হচ্ছে কিন্তু এসবেরও এখন আগের মত চাহিদা নেই।

চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতির অংশ পরিবেশ বান্ধব বাঁশ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে, পেশা সংশ্লিষ্টদের বিনা সুদে কিংবা স্বল্প সুদে পরিবার ভিত্তিক ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা গ্রহণসহ পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা জরুরী বলে মনে করছেন অভিজ্ঞরা।

Attachments area






আরও খবর


Chief Advisor:
A K M Mozammel Houqe MP
Minister, Ministry of Liberation War Affairs, Government of the People's Republic Bangladesh.
Editor & Publisher: A H M Tarek Chowdhury
Sub-Editor: S N Yousuf

Head Office: Modern Mansion 9th Floor, 53 Motijheel C/A, Dhaka-1223
News Room: +8802-9573171, 01677-219880, 01859-506614
E-mail :71sang[email protected], [email protected], Web : www.71sangbad.com