মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ ৭ চৈত্র ১৪২৯
শিরোনাম: রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রন করুন : বাংলাদেশ ন্যাপ       বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার গল্প নিয়ে হার্ভার্ডে গোলটেবিল আলোচনা        সড়ক দুর্ঘটনা: প্রাণহানিতে রাষ্ট্র নির্বিকার ..........আ স ম রব        জগন্নাথ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তিতে থাকছে       দেশে ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে সৈয়দপরে : মির্জা ফখরুল        বঙ্গবন্ধু হত্যার বৈধতা দিয়েছিল বিএনপি: শ ম রেজাউল করিম       ইবিতে 'বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে জানো' শীর্ষক কুইজ প্রতিযোগিতা       
করোনার হাতে ক্ষমতা বিশ্ব এখন অদ্ভুত সময় পার করছে !
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৭১ সংবাদ ডট কম :
প্রকাশ: সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০২০, ১০:২৫ এএম আপডেট: ২৩.০৩.২০২০ ১০:৩৬ এএম |

ক্ষমতা এখন করোনার হাতে!

ক্ষমতা এখন করোনার হাতে!

বিশ্ব এখন অদ্ভুত সময় পার করছে। মানুষের জীবন চলছে করোনা ভাইরাসকে ঘিরে। আগে যেখানে বিদেশ থেকে সন্তান আসলে আদর-যত্ন করে খাওয়াত, সেখানে এখন ছেলে জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠছেন। আবার ছেলের কাছে বিদেশ থেকে আসা বাবাও হুমকি। অর্থই যেখানে অধিকাংশ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করত সেখানে সেই কাগুজে অর্থ সত্যিকারের কাগুজে বাঘে পরিণত হয়েছে। করোনা প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রীকেও ছাড় দিচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যে কেউ যে কোনো সময় বন্দি হতে পারে, সেখানে তারাই স্বেচ্ছায় বন্দিত্বকে বরণ করে নিচ্ছেন। তাই তো সব ক্ষমতার নিয়ন্ত্রক এখন করোনা!


সব খবর করোনার পেটে! : যুক্তরাষ্ট্রের কথাই ধরা যাক। সেখানে মূল খবর ছিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। চীনে করোনার উত্পত্তি হওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রে খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি। কিন্তু দেশেই যখন হানা দিল তখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের খবর বিশ্ব মিডিয়ার শেষের দিকে চলে গেল। প্রতিদিন করোনার খবরই গুরুত্ব পাচ্ছে মার্কিন মিডিয়ায়। চীনসহ বিশ্বের মানবাধিকর পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কিন্তু এবার সেই প্রতিবেদনের খবর করোনায় ঢাকা পড়ে গেছে।

দিল্লি দাঙ্গার পরে গৃহহীন কয়েক হাজার মানুষ। অর্থনীতিও সংকটে। সিএএর বিরুদ্ধে এখনো রাস্তায় শাহিনবাগের নারীরা। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকার নিয়ে নাটক। পশ্চিমবঙ্গে পৌরসভার ভোট। কাশ্মীরে জটিল অবস্থা অব্যাহত। পার্লামেন্ট চলছে। চলছে বাজেট বিতর্ক। এসবই গণমাধ্যমে খবরের শিরোনাম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা গ্রাস করে নিয়েছে সব। কেবল যুক্তরাষ্ট্র, চীন কিংবা ভারত নয়, তুরস্ক, পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া, ফিলিস্তিন, ইসরাইল ও ভেনিজুয়েলার খবর এখন মিডিয়ায় গুরুত্বহীন। অথচ এমন কোনো দিন নেই যে, এসব দেশের কোনো না কোনো খবর মিডিয়ায় আসেনি। বিরোধী দলগুলোও এখন আর আন্দোলনের দিকে নেই। তবে সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত তারা। সেটাও কেবল করোনা ভাইরাসকেন্দ্রিক।

বিশ্বাস-অবিশ্বাস : নানা সময়ে মহামারি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে একেক ধর্মে একেকভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। বাইবেলের উক্তি তুলে ধরে অনেক খ্রিষ্টীয় অনুসারী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন:‘এমন একটি সময় আসবে যখন একটি রোগে অনেক মানুষ মারা যাবেন’। একজন লিখেছেন: ‘দুঃখের দিনের শুরু-ম্যাথু ২৪:৩-৮। আরেকজন ‘যিশু ফিরছেন’ এই হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন: ‘অস্ট্রেলিয়ার বনাঞ্চলের আগুন, করোনা ভাইরাস, অপ্রচলিত জায়গায় ভূমিকম্প, বিশ্বব্যাপী হিংসা-খুন ও ক্ষুধার্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া... আর তারা যারা পুনরুত্থানের কিতাবকে অবজ্ঞা করে’।

ইসলাম ধর্মের অনেক অনুসারীও ব্যাখ্যা দিয়েছেন। অনেকে স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের বারবার হাত ধোয়ার পরামর্শের সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার আগে ওজুর সঙ্গে মিলিয়েছেন। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুতে বলেছেন। অনেকে হাদিসে বর্ণিত একটি অসুখের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, পৃথিবী শেষ হওয়ার আগে একটি রোগ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। অনেকে কেয়ামতের আগে কাবায় ‘তাওয়াফ’ বন্ধ হবে এই ঘটনার সঙ্গে চলমান করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কাবায় ওমরাহ বন্ধের তুলনা করেছেন। অনেক হিন্দু ধর্মের অনুসারীও তাদের ব্যাখ্যা হাজির করেছেন। অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার সভাপতি স্বামী চক্রপাণি এই ভাইরাসকে একটি ‘রাগী দেবতা’ বলে অভিহিত করেছেন। করোনা ভাইরাস নয়, এটি নিরীহ প্রাণীকে রক্ষার অবতার। যারা এদের ভক্ষণ করেন, তাদের মৃত্যু ও সাজার শাস্তি শোনাতে এসেছে। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের করোনার মূর্তি তৈরি করে ক্ষমা চাওয়ার দরকার ছিল বলে মনে করেন। আসাম বিজেপির সুমন হরিপ্রিয়ের দাবি, গোমূত্র ও গোবর করোনা ভাইরাসের দূষণ থেকে বাঁচায়। যুক্তরাষ্ট্রের স্ক্রিপস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা জানায়, প্রকৃতি থেকেই উত্পত্তি হয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের।

অর্থও এখন মূল্যহীন! : করোনা মোকাবিলায় জার্মান সরকার ১১০ কোটি ডলারের ঋণ দিচ্ছে। দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি সামাল দিতে ৫৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের তহবিল আছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্পেন ২১ হাজার ৯০০ কোটি, পর্তুগাল হাজার কোটি, ফ্রান্স প্রায় ৫ হাজার কোটি, যুক্তরাজ্য ১ হাজার ৪৫০ কোটি এবং মার্কিন সিনেট ১০ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে। এত টাকা খরচ হলেও তা যেন আতঙ্কের। কারণ কাগুজে অর্থ এখন ভাইরাস ছড়নোর একটা উপাদান হিসেবে মনে করা হচ্ছে। কাগুজে নোট সত্যিই কাগুজে বাঘে পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল অর্থ খুব কম মানুষেরই আছে।






আরও খবর


Chief Advisor:
A K M Mozammel Houqe MP
Minister, Ministry of Liberation War Affairs, Government of the People's Republic Bangladesh.
Editor & Publisher: A H M Tarek Chowdhury
Sub-Editor: S N Yousuf

Head Office: Modern Mansion 9th Floor, 53 Motijheel C/A, Dhaka-1223
News Room: +8802-9573171, 01677-219880, 01859-506614
E-mail :[email protected], [email protected], Web : www.71sangbad.com