শিরোনাম: |
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের,
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের ঘরে অগ্নিসংযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৭১ সংবাদ ডট কম :
|
স্থানীয়রা জানায়, ওই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মোঃ ফারুক (৩২)ও প্রতিবেশি মৃত নান্দু বেপারীর ছেলে সোরহাবের (৫৫) পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। ইতোপূর্বেও বসতবাড়ির বিরোধপূর্ণ সীমানা নিয়ে কয়েকবার মারধরের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ বিচারে আপস মিমাংসাও হয়েছে। থানা পুলিশ মিংমাসা কার্যকর করতে মুচলেকাও নিয়েছেন। তারপরেও বিরোধ বেড়েই চলছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার গৃহকর্তা সোরহাব তার লোকজন নিয়ে ফারুকের বাড়িতে ঢুকে তাদের ফলজ গাছ কেটে ফেলে। এতে ফারুকের ছোট বোন কাঞ্চনমালা (২৪) বাঁধা দিলে তাকে বেধড়ক মারধর করে। ওই সময় বড় বোন ফুলমালা (৩৮) এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় দু‘বোনকে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বড় বোন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও ছোট বোন কাঞ্চনমালা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় মোঃ ফারুক সোরহাবসহ ৬ জনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেন। এদিকে ঘটনার দিবাগত রাতেই সোরহাব ও তার লোকজন ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ ঘরে আগুন দিয়ে থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মূল রহস্য উদঘাটন করেন। ভুক্তভোগী মোঃ ফারুক বলেন, ব্যবসায়িক কাজে বেশিরভাগ সময় আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে সোরহাব ও তার পরিবারের লোকজন আমার বোনদের ওপর মাঝে-মধ্যেই জুলুম-অত্যাচার করে। অভিযুক্ত সোরহাব ও তার ছেলে রবিউলের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি। স্থানীয় ইউপি মেম্বার দেওয়ান মোঃ নিবুর বলেন, চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় দু‘পরিবারের মধ্যে সীমানা সংক্রান্ত সমস্যাটি একাধিকবার মিমাংসা করে দেয়া হলেও সোরহাব তা মানেনি। ফারুকের বাড়িতে পুরুষ লোক না থাকায় মহিলারা এগিয়ে গেলে প্রতিপক্ষের মারধরের শিকার হন। তার পরেও স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান। এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সিংগাইর থানার এসআই মোঃ মনোহর বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। দিনে দুই নারীকে মারধরের ঘটনা সত্য। কিন্তু রাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা সাজানো। উভয় পরিবারই পরস্পর আত্মীয় ও প্রতিবেশি হওয়ায় স্থানীয়রা মিমাংসার উদ্যোগ নিয়েছেন। সমাধান না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
|