শিরোনাম: |
টঙ্গীতে গৃহকর্মী নুরুন্নাহার বেগমের (১৮) আত্মহত্যার প্রায় ১০ মাস পর ময়নাতদন্তে বেরিয়ে এসেছে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন
আত্মহত্যার প্রায় ১০ মাস পর ময়নাতদন্তে বেরিয়ে এসেছে তিনি ধর্ষণের শিকার
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৭১ সংবাদ ডট কম :
|
টঙ্গীতে গৃহকর্মী নুরুন্নাহার বেগমের (১৮) আত্মহত্যার প্রায় ১০ মাস পর ময়নাতদন্তে বেরিয়ে এসেছে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তাঁর প্রেমিক হোটেলকর্মী হাবিবুর রহমান হাবিব (২২)। গত সোমবার হাবিবকে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার পুড়াইখলা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানার পুলিশ। পরে তিনি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। গতকাল মঙ্গলবার গাজীপুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।গতকাল দুপুরে টঙ্গী পূর্ব থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) ইলতুৎ মিশ। পুলিশ জানায়, নুরুন্নাহার ও হাবিবুর রহমান হাবিবের গ্রামের বাড়ি মাধবপুরে। নুরুন্নাহার টঙ্গীর মধ্য আরিচপুর শেরেবাংলা রোডের মোশারফ হোসেনের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন। থাকতেন কাছেই একটি ভাড়া বাসায়। বাসাটির পাশেই একটি হোটেলে বাবুর্চির কাজ করতেন হাবিব। পাশাপাশি বাসায় থাকায় তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এই সুবাদে তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে যান এবং নুরুন্নাহারকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন হাবিব। নুরুন্নাহার একপর্যায়ে হাবিবকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি কালক্ষেপণ করতে থাকেন। এ সময় হাবিবের পরিবার নুরুন্নাহারের অভিভাবকদের কাছে দু্ই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাঁদের বিয়ে থেমে যায়। গত ৪ জানুয়ারি হাবিবের সঙ্গে মোবাইল ফোনে নুরুন্নাহারের কথা-কাটাকাটি হয়। হাবিব নুরুন্নাহারকে গালাগাল করেন। এর কিছুক্ষণ পর নুরুন্নাহার তাঁর ভাড়া বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় ওই দিন টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়। প্রায় ১০ মাস পর পুলিশের হাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে দেখা যায়, নুরুন্নাহার যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। এ ঘটনায় গত সোমবার হাবিবকে আসামি করে টঙ্গী পূর্ব থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন নুরুন্নাহারের বাবা দীন ইসলাম। পরে পুলিশ কর্মকর্তা ইলতুৎ মিশের নির্দেশে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জুলহাস উদ্দিনসহ একদল পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে হাবিবকে গ্রেপ্তার করে।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শাহাদাত হোসেন, টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আমিনুল ইসলাম, পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম, এএসআই ওমর ফারুক প্রমুখ। মন্তব্য
|