শিরোনাম: |
"রাবিতে হল খোলার দাবিতে প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম" "
![]() |
![]() আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, দেশের সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই আবাসিক হলগুলো বন্ধ রেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে তারা একাধিকবার হল খেলার বিষয়ে অনুরোধ করলেও এবং স্মারকলিপি প্রধানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে না। চলতি মাসেই আবাসিক হলগুলো খোলার ঘোষণা না দিলে আজকের এই আন্দোলন থেকেই তারা কঠোর কর্মসূচিতে যাবে। ![]() রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন মানিক বলেন, দেশের সবকিছু তো চলছে। ক্যাম্পাস খুলে না দিলে শিক্ষার্থীরা সেশনজট সহ ভয়াবহ পরিস্থিতি মুখোমুখি হচ্ছে। ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থানের কারনেই আজকে দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার শিকার হচ্ছে। আমরা এখন আর ক্যাম্পাসের বাহিরে নিরাপদ না। প্রশাসনের কাছে জোর দাবি তারা যেন অতি দ্রুত ক্যাম্পাস ও হল খুলে দেন। আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী মাহমুদ সাকি বলেন, আমরা এতো দিন চুপ ছিলাম আমরা তাকিয়ে ছিলাম প্রশাসনের বিবেকের দিকে। কিন্তু তাদের বিবেক নাড়া দেয়নি। তোদের তো বেতন ভাতা আনন্দ ফুর্তি বন্ধ নেই তাহলে আমাদের হল ক্যাম্পাস বন্ধ কেনে? প্রতিদিন জুবেরি ভবনে আড্ডা হচ্ছে প্রশাসন ভবনে মিটিং হচ্ছে সেখানে করোনা ভাইরাস নেই করোনা শুধু আমার ক্লাস রুমে করোনা অজুহাত। ছাত্র সমাজ ৫২ তে স্লোগান তুলে ছিলো টিকতে পারিনি পাকিস্তানিরা । ৭১ এ স্লোগান তুলে ছিল টিকতে পারেনি। আমাদের কে উত্তেজিত করবেন না। হলের তালা কীভাবে ভাঙতে হয় তা আমাদের উত্তরসূরিরা আমাদের কে শিখিয়েছে। অবস্থান কর্মসূচি থেকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত না জানালে আগামীকাল (সোমবার) থেকে কঠোর আন্দোলনে যাবেন তারা। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসেই আবাসিক হলগুলো খোলার ঘোষণা না দিলে আজকের এই আন্দোলন থেকেই তারা কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুশিয়ারিও দেয় শিক্ষার্থীরা। |