শিরোনাম: |
নতুন মাইলফলক অতিক্রম করেছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৭১ সংবাদ ডট কম :
|
আবারো নতুন মাইলফলক অতিক্রম করেছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। প্রথমবারের মতো দেশের রিজার্ভ পৌঁছেছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বা ৪৪ বিলিয়ন ডলারে।বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিন শেষে দেশের রিজার্ভ দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসাবে মজুত বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে কমপক্ষে ৮ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর রিজার্ভ ৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ছাড়ায়। করোনার মধ্যেও প্রবাসী আয় বাড়ায় এবং রফতানিতে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সম পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থাকতে হয়। দেশের রিজার্ভের অন্যতম উৎস হিসেবে ভূমিকা রাখছে রেমিটেন্স। প্রবাসী আয় বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ প্রণোদনা দিতে শুরু করে সরকার। এরপর থেকেই গতি ফেরে বৈধ পথে প্রবাসী আয়ে।এদিকে পণ্য রফতানিতেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ। করোনার প্রকোপের মধ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বরে রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার ছাড়ায়। ৮ অক্টোবর তা বেড়ে ৪ হাজার কোটি ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। দেশে ২০১৪ সাল থেকেই বাড়ছে রিজার্ভ। দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আর জাইকার বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ও অনুদানের কারণেও রিজার্ভ বেড়েছে। তবে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের বিল পরিশোধ করলে কিছুটা কমবে রিজার্ভ। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, ইরান ও মালদ্বীপ- এ নয়টি দেশ বর্তমানে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের সদস্য দেশ। এ দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে, তার বিল দুই মাস পরপর পরিশোধ করতে হয়। |