শিরোনাম: |
ইফাদ গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যান জানাব ইফতেখার আহমেদ টিপু সাহেবের বক্তব্য-
![]() |
ইফাদ গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যান জানাব ইফতেখার আহমেদ টিপু সাহেবের বক্তব্য- আজ এই বিশেষ দিনে ইফাদ অটোস লিমিটেডের আহবানে এখানে সমবেত হওয়ায় আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। নি:সন্দেহে আজ একটি স্মরনীয় মূহুর্ত। আজ আমরা বাংলাদেশের বাজারে বিশ্বমানের গাড়ির বডি তৈরী করার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করছি। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশে ভারী যানবাহনের ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বেড়েছে মানুষের ক্রয়ের ক্ষমতা। মানুষ এখন আরামদায়ক ভ্রমণ করতে চায়। ভালো মানের বাসের চাহিদা থাকা সত্তে¡ও আমদানী ব্যয়ের কারণে পরিবহন মালিকগণ খুব বেশী গাড়ি রাস্তায় চালাতে পারছিলেন না। আমদানী বাবদ প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ইফাদ অটোস লিমিটেড এক দু:সাহসিক কাজে হাত দিয়েছে। এতোদিনে যা ছিলো স্বপ্ন, আজ তা বাস্তবে রুপ নিয়েছে। এখন থেকে এই কারখানায় তৈরী হবে আধুনিক ও বিশ্বমানের এসি এবং নন-এসি বাস। এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি দেশে শিল্পায়ণ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। ইফাদ গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যান জানাব ইফতেখার আহমেদ টিপু সাহেবের বক্তব্য- আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শি চিন্তধারায় ২০২০ সালকে “লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বর্ষ” হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অকল্পনীয় বৈপ্লবিক চিন্তাধারা। অলটারনেটিভ এক্সপোর্ট মার্কেট হিসেবে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সম্ভাবনা অপরিশীম। গ্লোবালি যাহা ৭ ট্রিলিয়ন ইউএস ডলার-এর অধিক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের সাথে তাল মিলিয়ে ইফাদ গ্রুপ অটোমোবাইলের কম্পোনেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং-এর লক্ষ্যে চট্টগ্রামের মীরেরসরাইতে বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোনে ৩০ একর জমির আবেদন করেছে। যেখানে আমরা অটোমোবাইলের হাব তৈরীর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যা অদূর ভবিষ্যতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানীর পরিকল্পনা রয়েছে। মাননীয় শিল্পমন্ত্রী, আপনার দূরদর্শি নেতৃত্বে শিল্প মন্ত্রণালয় এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের শিল্পায়ন বৃদ্ধিতে আপনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু কিছু বাধা-বিপত্তির কারনে শিল্পের স্থানীয়করণ সেভাবে সম্ভব হচ্ছে না। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে অনুরোধ করবো- এ সব বাধা দূর করলে আমরা আমদানী নির্ভর থেকে বিদেশে রপ্তানী করতে সক্ষম হবো। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারনে বাংলাদেশে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি- আমাদের ব্যবসার সহযোগি অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অর্ধেক মূল্যে বাংলাদেশের তৈরী বিশ্বমানের এসি বাস আমাদের মালিক ভাইদের সহজ কিস্তিতে প্রদান করতে পারবো। চার বছর আগে এই কারখানায় বাস ও ট্রাকের সংযোজন শুরু হয়েছিলো। এবার এখানেই তৈরী হবে অত্যাধুনিক এসি, নন-এসি বাস ও ট্রাকের কেবিন। যেহেতু এই কারখানায় বিভিন্ন মডেলের বডি তৈরী করা হবে, তাই উৎপাদন খরচ আমদানীকৃত গাড়ির চেয়ে কম হবে। এর সুবিধা বাস মালিক ও যাত্রীগণই ভোগ করবেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আপনাদের সকলকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। |