শিরোনাম: |
ভাসানচর পৌঁছেছে আরো ২১৪৭ রোহিঙ্গা
![]() |
![]() ভাসানচর পৌঁছেছে আরো ২১৪৭ রোহিঙ্গা এর আগে কক্সবাজারের উখিয়া ট্রানজিট পয়েন্ট হতে রোহিঙ্গাদের আইনশৃংখলা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে বেশি ভাগই বালুখালীর রোহিঙ্গা শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত।শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়ন-৩ এ স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ২১৪৭ জন রোহিঙ্গা নৌবাহিনীর ছয়টি লজিস্টিক জাহাজযোগে চট্টগ্রাম বোটক্লাব জেটি হতে ভাসানচরের দিকে রওনা হয়।উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে আনুষ্ঠানিকভাবে নারী-পুরুষ, শিশুসহ নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছে ১৬৪২ জন রোহিঙ্গা।গত ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজার থেকে আরো ১৮০৪ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছায়। গত বছরের ৮ মে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের পানিসীমায় ভাসতে থাকা ২৭৭ রোহিঙ্গাদের আরো একটি দলকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগরে বোটে ভাসমান অবস্থা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।গত ২৯ জানুয়ারি তৃতীয় দফার প্রথম পর্যায়ে ভাসানচরে নেয়া হয় ১৭৭৬ জন রোহিঙ্গাকে। ৩০ জানুয়ারী তৃতীয় দফায় দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ১৪৬৭ জন রোহিঙ্গা এসে পৌঁছায়। এরপর ১৫ ফের্রুয়ারি চতুর্থ দফায় প্রথম ধাপে ২০১০ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর পোঁছায়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ১০১১ জন রোহিঙ্গার পৌঁছায়। গত ৩ মার্চ পঞ্চম ধাপে প্রথম পর্যায়ে ভাসান চরে ২২৫৭ জন রোহিঙ্গা পৌঁছে। গত ৮ মার্চ পঞ্চম ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ১৭৫৯ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী ভাসারচর পৌঁছে। গত ১ এপ্রিল ষষ্ঠ ধাপে প্রথম পর্যায়ে ভাসানচরে পৌঁছেছে আরো ২১২৮ জন রোহিঙ্গা।প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের ফলে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগে আসে আরো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি শরণার্থী ক্যাম্পে রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১১ লাখ। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের চাপ সামলাতে সরকার ১ লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসমানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়। সে প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ধাপে ধাপে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে।রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল হাতিয়ায় মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা ভাসানচরে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ শেষ হয়। ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও আগেই শেষ হয় সকল অবকাঠামো নির্মাণ।হাতিয়া থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটার দ্বীপের এ আশ্রয়ন প্রকল্পে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম রয়েছে। এতে ১ লাখ রোহিঙ্গার বাসস্থানের সংস্থান করা হয়েছে। |