শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০
শিরোনাম: বিএটি বাংলাদেশের ৫১তম এজিএম অনুষ্ঠিত       আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী ডেবিট কার্ড চালু       ফেঞ্চুগঞ্জের তজমুল আলী চত্বরে এমপি হাবিবের পক্ষে ইফতার বিতরণ       মিনিস্টারের ‘শত কোটি টাকার ঈদ উপহার’ অফারে একটি রেফ্রিজারেটর কিনে আরও একটি রেফ্রিজারেটর ফ্রি পেলেন মোঃ আসাদুজ্জামান সুমন       গ্যালাক্সি এ১৫ ৫জি - দুর্দান্ত সব ফিচার ও অসাম ডিসপ্লে নিয়ে স্যামসাং গ্যালাক্সি এ সিরিজের নতুন চমক বাজারে       মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে       আইসিএসবি কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালিত      
মাথার ওপর ঘুরছে মিথেন বিপদ : পদক্ষেপ না নিলে বড় দুর্যোগের শঙ্কা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৭১ সংবাদ ডট কম :
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৫২ এএম |

দেশের বাতাসে হঠাৎ করেই বেড়েছে উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি। প্যারিসভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘কায়রস এসএস’র এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি এ বিষয়ে বলা হয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ১২টি মিথেন নিঃসরণের হার শনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশের আকাশে। দেশের বায়ুমণ্ডলে মিথেনের এই উপস্থিতিকে উদ্বেগের বলছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, হঠাৎ করেই মিথেন বাড়ার কারণ বের করতে না পারলে এবং তা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে দেশ। এমনকি অ্যাসিড রেইন বা বৃষ্টিও হতে পারে, যা মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশের।বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী মিথেন। এটি গত দুই দশকে কার্বন ডাই অক্সাইডের (যাকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয়) চেয়েও ৮৪ গুণ বেশি ক্ষতি করেছে বায়ুমণ্ডলের। ঘ্রাণহীন বর্ণহীন এই গ্যাস পৃথিবীতে আসা সূর্যের তাপ ধরে রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে, যা বৈশ্বিক তাপমাত্রা আরও দ্রুত বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এর কারণ অনুসন্ধান করতে যথাযথ পদক্ষেপ দ্রুততার সঙ্গে নেয়া উচিৎ এবং এই গ্যাস নিঃসরণের ক্ষেত্রে সরকারের নীতিগত পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে বড় কোনো দুর্যোগ ঘটে যেতে পারে। যেমন অ্যাসিড রেইনও হতে পারে এপ্রিলের শুরুর দিকে ‘কায়রস এসএস’ তাদের গবেষণা তুলে ধরে জানায়, বাংলাদেশের বাতাসে ঘন মিথেন গ্যাসের রহস্যজনক ধোঁয়ার উপস্থিতি মিলেছে। এখানকার বায়ুমণ্ডলের ১২টি স্থানে সর্বোচ্চ মিথেন নিঃসরণের হার শনাক্ত হয়েছে। ওই গবেষণার পর সম্প্রতি প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্ট্রিয়লভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জিএইচজিস্যাটের গত ১৭ এপ্রিলের হুগো স্যাটেলাইটে দেখা গেছে, বাংলাদেশের মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল থেকে বিপুল পরিমাণ মিথেন নিঃসরণ হচ্ছে। এর পরিমাণ হতে পারে ঘণ্টায় প্রায় চার হাজার কেজি। প্রতি ঘণ্টায় এক লাখ ৯০ হাজার গাড়ি যে পরিমাণ বায়ুদূষণ ঘটায়, তার সমান দূষণ ছড়াচ্ছে মাতুয়াইলের বিশাল এই ময়লার ভাগাড় থেকে।পরিবেশবিদরা বলছেন, আকাশে মিথেনের যে আস্তর রয়েছে তা নানা কারণেই হতে পারে। আবার অন্য দেশ থেকেও নিঃসরণ হতে পারে। এ নিয়ে অনেক গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। নিঃসরণের সঠিক মাত্রা নির্ণয় ও উৎস শনাক্ত করা ছাড়া এ সংকট সমাধানের উপায় নেই। এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ অধিদফতর।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘এই বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না। একটা টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন এই কমিটিকে বলা হয়েছে রিপোর্ট দেয়ার জন্য। এই রিপোর্টটা পাওয়ার আগ পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ বিষয়টা আসলে বৈজ্ঞানিক গবেষণার উপর ভিত্তি করে বলা যাবে। কোনো কারণ বা অনুমানভিত্তিক কিছু বলা যাবে না। রিপোর্টটা আসুক আগে, একটু অপেক্ষা করতে হবে।  আমাদের এখানে যতটুকু গরম পড়ার কথা তার চেয়ে বেশি গরম পড়ে। ধান পুড়ে যাওয়া বা হিটশক হতে পারে মিথেনের কারণে ব্লুমবার্গের ওই প্রতিবেদনে ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইএসএ) সেন্টিনেল-ফাইভপি ও সেন্টিনেল-টু স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মিথেন নিঃসরণে সবচেয়ে বেশি দায়ী ধানক্ষেত, ময়লার ভাগাড়, প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপলাইনে ফাটল, কয়লা পোড়ানোসহ নানা কারণ।এ বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন। আমাদের এখানে সিংহভাগ মিথেনই ধানক্ষেত থেকে তৈরি হয়। যখন চাষিরা জমিতে পানি দেয়, তখন মাটিতে থাকা ব্যাকটেরিয়া বিপুল পরিমাণ গ্যাস সৃষ্টি করে। এছাড়া জীবাশ্ম জ্বালানি এর অন্য একটা উৎস। আরেকটা উৎস হচ্ছে ল্যান্ডফিল গ্যাস। আমরা এটি কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’

যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে বড় কোনো দুর্যোগের আশঙ্কা বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল জাগো নিউজকে বলেন, ‘স্যাটেলাইট থেকে এই মিথেনের লেয়ার পাওয়া গেছে। এটার জন্য ল্যান্ডফিল একটা কারণ হতে পারে। আবার জলাশয় ভরাট, কৃষিজমি, বনভূমি কিংবা অন্য জায়গা থেকে মিথেন এসে এক যায়গায় কনসেনট্রেশন হতে পারে। এটার একটা স্টাডি হওয়া দরকার। তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার বাতাসে মিথেনের উপস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। এর অভিঘাত শুধু যে ঢাকার মানুষের ওপর কিংবা ঢাকার পরিবেশের ওপর পড়বে তা কিন্তু নয়। কাজেই এর কারণ অনুসন্ধান করতে যথাযথ পদক্ষেপ দ্রুততার সঙ্গে নেয়া উচিৎ এবং এই গ্যাস নিঃসরণের ক্ষেত্রে সরকারের নীতিগত পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে বড় কোনো দুর্যোগ ঘটে যেতে পারে। যেমন অ্যাসিড রেইনও হতে পারে। কার্বনের এই লেয়ারের ইমপ্যাক্ট বৃষ্টিপাতের ওপর থাকতে পারে। আমাদের জলবায়ুর প্যাটার্নও পরিবতন হতে পারে। যখন জন কেরি জলবায়ু সংক্রান্ত একটা কনফারেন্সে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানাতে এলেন, তখনই গবেষণাটি প্রকাশ পেল। এখানে অন্য কিছুর গন্ধ আমরা দেখছি বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষতিকর মিথেন বা পদার্থ বায়ুমন্ডলে থাকা জলকণার সঙ্গে মিশে সালফিউরিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। সেই অ্যাসিড বৃষ্টির পানির সঙ্গে নেমে এলে তাকে অ্যাসিড রেইন বলে, যা উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। অ্যাসিড রেইন হলে এলাকার জীববৈচিত্র্য যেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তেমনি এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দেবে নানা ধরনের রোগ।


মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল্ডকেই মিথেন গ্যাস নিঃসরণের প্রধান উৎস বলা হচ্ছে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘মিথেনের ৫-৬টা উৎস থাকে। একটা সমুদ্র থেকে আসে। তবে বাংলাদেশের সমুদ্রোপকূল থেকে কোনো মিথেন হয় না। অ্যাগ্রিকালচারাল ওয়েস্ট থেকেও মিথেন আসে। স্যাটেলাইটের যে স্টাডিটা হয়েছে, সেটা ফেব্রুয়ারি বা মার্চে হয়েছে। সে সময়ে শীতকাল ছিল, সুতরাং সেখান থেকে মিথেন আসার সুযোগ নেই। কয়লাখনি থেকে মিথেন তৈরি হয়। কিন্তু বাংলাদেশ সেরকম কোনো কয়লাখনিও নেই। আবার তেলের খনি কিংবা গ্যাসের খনি লিক করেও মিথেন নির্গত হয়। এমন কোনো ঘটনাও ঘটেনি দেশে। গবাদি পশুর মল থেকেও মিথেন হয়, সেটা বাংলাদেশে মডারেট পর্যায়ে আছে।  আমাদের এখানে সিংহভাগ মিথেনই ধানক্ষেত থেকে তৈরি হয়। যখন চাষিরা জমিতে পানি দেয়, তখন মাটিতে থাকা ব্যাকটেরিয়া বিপুল পরিমাণ গ্যাস সৃষ্টি করে। এছাড়া জীবাশ্ম জ্বালানি এর অন্য একটা উৎস। আরেকটা উৎস হচ্ছে ল্যান্ডফিল গ্যাস। আমরা এটি কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি 

‘বাংলাদেশে প্রচুর ময়লা-আবর্জনা খোলামেলা পোড়ানো হয়, ফেলে রাখা হয়। এটাও মিথেনের বড় একটা উৎস। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ যেটা সবাই বলছে, সেটা হলো ওয়েস্ট ডাম্পিং সাইট (ল্যান্ডফিল) থেকে প্রচুর মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। আমাদের যশোর, কুষ্টিয়া, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকার ল্যান্ডফিল্ড থেকে গ্যাস উৎপাদনের প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছে। তার মানে সেখানে প্রচুর গ্যাস জেনারেট হয় এবং সেই গ্যাসটা ১০০ ভাগ মিথেন। এই ল্যান্ডফিলগুলোর কোনো ম্যানেজমেন্ট নেই। এটা বায়ূদূষণ করছে।অ্যাসিড রেইন মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে প্রকৃতি ও পরিবেশের এই মিথেনের কারণে দেশের বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত থাকে উল্লেখ করে অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘আমাদের এখানে যতটুকু গরম পড়ার কথা তার চেয়ে বেশি গরম পড়ে। ধান পুড়ে যাওয়া বা হিটশক হতে পারে মিথেনের কারণে। অবশ্য এটা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। তবে গবেষণা হয়নি, ল্যান্ডফিল্ডগুলোতে মিস ম্যানেজমেন্টের কারণে মিথেন বাড়তে পারে বাতাসে। খালি যায়গা চিহ্নিত করে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য বানানো হয় ল্যান্ডফিল্ডে। আমিন বাজার, মাতুয়াইলে ল্যান্ডফিল্ড আছে।তিনি বলেন, ‘এক ধরনের স্যানিটারি ল্যান্ডফিল্ড আছে, যেখানে ময়লা থেকে পানি ছেকে বের হয়ে যায়। বর্জ্যপানিটা ট্রিট করে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেয়া হয়। এটা ব্যয়সাপেক্ষ, বাংলাদেশে নেই। এটা বাতাসে মিথেনের পরিমাণ কমায়। স্যানিটারি ল্যান্ডফিল না থাকায় বাতাসে মিথেন বেড়েছে। আবার পাঁচ বছর আগেই আমাদের ল্যান্ডফিল্ডগুলোর ক্যাপাসিটি ফুল হয়ে গেছে। এখন আমাদের একদিকে নতুন করে ল্যান্ডফিল্ড করতে হবে, অন্যদিকে যে ল্যান্ডফিল্ডগুলো আছে, সেগুলোতে আবর্জনা কীভাবে ম্যানেজ করা যায় বা ডিকম্পোজ করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে।

দেশে প্রচুর ময়লা-আবর্জনা খোলামেলা পোড়ানো হয়, যা মিথেনের বড় একটা উৎস প্রশ্নের মুখে মিথেন বৃদ্ধি সংক্রান্ত গবেষণা গত ২২-২৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আয়োজনে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে জলবায়ুবিষয়ক ‘লিডার্স সামিট’। এতে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। এছাড়া ৪০ জন বিশ্বনেতাও এ সম্মেলনে যোগ দেন নেন।ওই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে ৯ এপিল ঢাকায় ঝটিকা সফরে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি।জলবায়ু বিষয়ক এই সামিটের আগে হঠাৎ করে বাংলাদেশে বায়ুমণ্ডলে মিথেনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার গবেষণা নিয়ে তাই প্রশ্ন তুলেছেন আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার। তিনি বলেন, ‘যখন জন কেরি জলবায়ু সংক্রান্ত একটা কনফারেন্সে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানাতে এলেন, তখনই গবেষণাটি প্রকাশ পেল। এখানে অন্য কিছুর গন্ধ আমরা দেখছি। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের একটি। সেই জায়গা থেকে আমরা উন্নত দেশসমূহের কাছে ক্ষতিপূরণ কিছু ডিমান্ড করি। কিন্তু তারা এটা দিতে রাজি হচ্ছে না। এখন যেহেতু মিথেন তৈরিতে বাংলাদেশের ভূমিকার কথা উঠে আসছে, তখন তারা ক্ষতিপূরণ আরও দিতে চাইবে না।






আরও খবর


Chief Advisor:
A K M Mozammel Houqe MP
Minister, Ministry of Liberation War Affairs, Government of the People's Republic Bangladesh.
Editor & Publisher: A H M Tarek Chowdhury
Sub-Editor: S N Yousuf

Head Office: Modern Mansion 9th Floor, 53 Motijheel C/A, Dhaka-1223
News Room: +8802-9573171, 01677-219880, 01859-506614
E-mail :[email protected], [email protected], Web : www.71sangbad.com