শিরোনাম: |
নিজস্ব বলয়কে শক্তিশালী রাখতে ভ্যাক্সিন সংরক্ষণের জোট তৈরি করেছে চীন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৭১ সংবাদ ডট কম :
|
দক্ষিণ এশিয়ায় নিজস্ব বলয়কে শক্তিশালী ও গতিশীল রাখতেই ভ্যাক্সিন সংরক্ষণের জোট তৈরি করেছে চীন। বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সফরের সাথে ভ্যাক্সিন জোটের সরাসরি কোন সর্ম্পক না থাকলেও, একে অপরের পরিপূরক। তাদের মতে, আগামীতে কূটনীতিতে দর কষাকষির হাতিয়ার হবে করোনার টিকা। তাই এ বিষয়ে যেকোন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে বুঝে শুনে নেয়ার পরামর্শ।পারমানবিক শক্তি, মুদ্রার মজুদ কিংবা চতুর্থ প্রজন্মের প্রযুক্তি, করোনা কালে শক্তির বিচেচনায় এসব যেন একেবারেই নস্যি। বরং কোন দেশ তার নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা কতটা নিশ্চিত করতে পেরেছে এবং কার হাতে কী পরিমাণ করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন রেয়েছে তার বিবেচনায় বিচার হচ্ছে শক্তির। সেই হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের মতন দেশগুলো পিছিয়ে সবদিক থেকেই। সেখানে নির্ভর করতে হচ্ছে টিকা উৎপাদনকারী দেশের উপর। ঠিক যখন ভারতে কাচামালের সংকটে উৎপাদন বন্ধ ভ্যাক্সিনের তখনই চীনের কাছ থেকে আসে জোটের প্রস্তাব। হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়াও। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অঞ্চলে টিকার কূটনীতি তে শুরুতে পিছিয়ে থাকলেও চীন নিজের বলয়কে গতিশীল রাখতে চাচ্ছে যেকোন মূল্যে।টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তার দোলাচলে থাকা অবস্থায়ই ঢাকা ফকর করেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংস্থার খবরে বলা হয় এই অঞ্চলে বাহিরের কাউকে ঘাটি গড়তে দেবে না চীন ও বাংলাদেশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মুহূর্তে বেইজিংয়ের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা।আগামী দিনে টিকাই হবে কূটনীতির বার্গেইন টুল। বিষয়টি মাথায় রেখে বাংলাদেশকে এগুনোর পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
|