বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৪ চৈত্র ১৪৩০
শিরোনাম: বিএটি বাংলাদেশের ৫১তম এজিএম অনুষ্ঠিত       আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী ডেবিট কার্ড চালু       ফেঞ্চুগঞ্জের তজমুল আলী চত্বরে এমপি হাবিবের পক্ষে ইফতার বিতরণ       মিনিস্টারের ‘শত কোটি টাকার ঈদ উপহার’ অফারে একটি রেফ্রিজারেটর কিনে আরও একটি রেফ্রিজারেটর ফ্রি পেলেন মোঃ আসাদুজ্জামান সুমন       গ্যালাক্সি এ১৫ ৫জি - দুর্দান্ত সব ফিচার ও অসাম ডিসপ্লে নিয়ে স্যামসাং গ্যালাক্সি এ সিরিজের নতুন চমক বাজারে       মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে       আইসিএসবি কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালিত      
বেফাঁস মন্তব্যে ফেঁসে যাচ্ছেন মেয়র কাদের মির্জা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৭১ সংবাদ ডট কম :
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৬ মে, ২০২১, ৯:২৩ এএম |

আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা, জাতীয় নির্বাচন, গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন, সংসদ সদস্য, সরকার ব্যবস্থাসহ নানামুখী বেফাঁস মন্তব্য করে এবার ফেঁসে যাচ্ছেন বসুরহাটের আলোচিত  আবদুল কাদের মির্জা।ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর ২৫টি চিহ্নিত নালিশ সংবলিত একটি লিখত অভিযোগ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে জমা দিয়েছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী।দলের চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্ব পাওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের সঙ্গে সাক্ষাত করে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ওই নালিশের কপি জমা দেয়ার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছে।কাদের মির্জার বিরুদ্ধে নিজে বাদী হয়ে ওই অভিযোগ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান।

তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জের বিবদমান সমস্যার সমাধানে দলকে রক্ষা করতে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে নিজে বাদী হয়ে ওই অভিযোগ জমা দিয়েছি।অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা কর্তৃক দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা, সংসদ সদস্য, প্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বেফাঁস মন্তব্য, দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা করা, ফার্নিচার লুট করে দলের অফিস বন্ধ করে দেয়া, হামলা চালিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদেরকে লাঞ্ছিত ও পঙ্গু করা, গুলি করে দলের লোককে হত্যা করা, সরকারি কাজে ১০ শতাংশ কমিশন নেয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতাসহ ২৫টি অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে।এসব ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিকার চেয়ে কাদের মির্জাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার, তাকে পৌর ভবনে সন্ত্রাসী নিয়ে অবস্থান করা থেকে বিরত রাখা, গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা, তার দেওয়া মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার ও দলের নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ বেশ কিছু দাবির বিষয়ও উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে বিগত চার মাস ধরে কাদের মির্জার বেফাঁস মন্তব্যের অডিও, ভিডিওসহ অসংখ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। লকডাউন শেষে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার বিষয়টিও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।ইতোমধ্যে সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও কাদের মির্জার অতীত ও বর্তমান কর্মকাণ্ডের ওপর তীক্ষ্ণ নজরদারী করছে বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই হওয়ায় এতদিন কেন্দ্রীয় নেতারা চুপ থাকলেও দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দলের নেতাদের দায়িত্ব দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।ইতোমধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও কাদের মির্জার বিরোধে সংঘটিত সহিংসতায় একজন সাংবাদিকসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ও পঙ্গু হয়েছেন আরও শতাধিক নেতাকর্মী। হত্যাসহ এসব ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় ১৮টি মামলা, আদালতে ১০টি পিটিশন ও থানায় শতাধিক সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়েছে। এসব মামলায় দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মীসহ স্থানীয় সাংবাদিকদেরকেও আসামি করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, কাদের মির্জা শুরুতে বেশ ভালো ভালো কথা বলছিলেন। পরে দেখা গেল তিনি পাগলের মতো নানা কর্মকাণ্ড করছেন। ফলে উনাকে এখন আর দলের কেউ ভালো চোখে দেখছেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাইয়ের পরিচয়টা তিনি অপব্যবহার করছেন। বলা যায়, ভ্রাতৃস্নেহের অনৈতিক ফায়দা নিচ্ছেন তিনি। দলের যেকোনো পর্যায়ের নেতা উনার মতো অসংলগ্ন কথাবার্তা বললে বা সহিংসতায় জড়ালে অনেক আগেই দল থেকে বহিষ্কার হয়ে কারাগারে থাকতেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতা আরও বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা দুটি বিষয় নিয়ে ভাবছেন। কাদের মির্জার পাগলামি অবশ্যই থামাতে হবে। একইসঙ্গে নোয়াখালী অঞ্চলে যাদের বিরুদ্ধে কাদের মির্জার বিরোধ রয়েছে, তা কী কারণে সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সর্বোপরি তদন্ত করে দলের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য রক্ষায় সবদিক বিবেচনায় নিয়েই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।তবে এসব বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন গণমাধ্যমকে বলেন, অরাজকতা সৃষ্টি ও অরাজনৈতিক আচরণের সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। গোপন তদন্ত ও ঘটনাগুলোর মূল্যায়ন চলছে। লকডাউন শেষ হলেই দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা সামনাসামনি বসে তদন্তকাজ শেষ করবেন এবং কঠিন অ্যাকশনে যাবেন।






আরও খবর


Chief Advisor:
A K M Mozammel Houqe MP
Minister, Ministry of Liberation War Affairs, Government of the People's Republic Bangladesh.
Editor & Publisher: A H M Tarek Chowdhury
Sub-Editor: S N Yousuf

Head Office: Modern Mansion 9th Floor, 53 Motijheel C/A, Dhaka-1223
News Room: +8802-9573171, 01677-219880, 01859-506614
E-mail :[email protected], [email protected], Web : www.71sangbad.com