শিরোনাম: |
দ্বিগুণ ভাড়ায় চলছে বাস-মাইক্রোবাস
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৭১ সংবাদ ডট কম :
|
নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোড, মদনপুর, সোনারগাঁ থেকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে দূর পাল্লার বাস। পাশাপাশি দিন-রাত মাইক্রোবাস সার্ভিস দিয়ে অন্য জেলায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে যাত্রীদের। এজন্য যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, কতিপয় পুলিশ সদস্যকে টাকা দিয়ে গণপরিবহন ও মাইক্রোবাস চলাচল করছে।সরেজমিনে দেখা গেছে সাইনবোর্ড, শিমরাইল, মদনপুর ও মোগরাপড়া চৌরাস্তা এলাকায় মহাসড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে মাইক্রোবাস থামিয়ে ঘরমুখী যাত্রীদের উঠায়। পূর্ব দক্ষিণ অঞ্চলের ১৬টি জেলায় যেতে যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হয় বেশি ভাড়া। গাড়িতে এসি চালু করলে আরও বাড়তি টাকা দিতে হয় যাত্রীদের।ঢাকা-চট্রগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন অলিতে গলিতে দিনব্যাপী অবস্থান করে রাখা হয় দূরপাল্লার বাস, রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে পরিবহনগুলো দ্রুত বাস কাউন্টারের সামনে চলে আসে। প্রতিটি সিটে একজন করে যাত্রী তুলেন লাইনম্যান। অনেকে দিনে এসে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে সিট বুকিং করে রাখে সামনে সিটের জন্য। রাত ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে গন্তব্যে জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বাসগুলো। কাউন্টারম্যানরা জানান, চট্টগ্রাম, বান্দরবন ও খাগড়াছড়ি রাতের বাসের বুকিং চলছে। সিট প্রতি ভাড়া দিতে হবে ১২শ’ টাকা। এসিতে গেলে ১৮শ’। মাঝ পথে নামলেও এ ভাড়াই দিতে হবে। ঈদের আগের দু’দিন পর্যন্ত সিট বুকিং চলছে। প্রতিসিটে একজন করে যাত্রী থাকবে। রাতে আসলেই যেতে পারবেন। ভাড়া বেশি কেন জানতে চাইলে লাইনম্যান বলেন, ট্রাফিক পুলিশকে পাচঁশ’ত টাকা দিলেই হয়। তবে মেঘনা ব্রিজের সামনে যে পুলিশ থাকে তাকে ২৫শ’ টাকা দিতে হয়। তাই টিকেটের ভাড়া বেশি এবং সব সিটে যাত্রী থাকবে।অন্য এক লাইনম্যান জানান, সিলেট ও সুনামগঞ্জ গামী দুইটি পরিবহনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি হচ্ছে। এই দুই জেলায় যেতে হলে ১ হাজার টাকা দিতে হবে প্রতি সিটের জন্য। চাইলে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে সিট বুকিং করা যাবে।নোয়ালীতে যাওয়া ৬২ সিটের একটি গাড়ির প্রতিটি সিট ৮শ’ টাকায় টিকেট বিক্রি করছে কাউন্টারম্যান খোকন মিয়া। বলেন, আমাদের এখানে রাত ৮টার পর কয়েকটি পরিবহন পাবেন। আপনি যে পরিবহনে খুশি যেতে পারেন। তবে সব সিটে যাত্রী উঠবে এবং মাস্ক থাকতে হবে, কারণ রাস্তায় পুলিশ ধরে। হাইওয়ে পুলিশের কাঁচপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, দূরপাল্লার বাস মহাসড়ক দিয়ে যাতে করে যেতে না পারে সে জন্য হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে। রাতে যেসব দূরপাল্লার বাস যাত্রী নিয়ে চলাচল করে তাদের গাড়ি আটক করা হয়। তবে একসঙ্গে কয়েকটি গাড়ি থাকলে সব তো ধরা যায়না আর টাকা নেয়ার তো প্রশ্নই আসে না। আমরা সরকারি নির্দেশনা মেনে কাজ করছি।নারায়ণগঞ্জে মহাসড়কের ৪টি অংশে দিনব্যাপী মাইক্রোবাসে (হাইয়েচ) যাত্রী তোলা হয়। একটি মাইক্রোবাসে মোট ১৫ জন যাত্রী নেয়া হয়। কুমিল্লা পর্যন্ত নন এসিতে প্রতি যাত্রীর ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা। লক্ষীপুর সদরে ৭শ’ টাকা, নোয়াখালী ও ফেনীতে ৮শ’। চট্টগ্রামে ১২শ’ টাকা। এসিতে গেলে এই ভাড়া আরও অর্ধেক বেড়ে যাবে।জেলা ট্রাফিক পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে। যাতে করে দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে না পারে। পাশাপাশি মাইক্রোবাসে করে যাত্রী নেয়া হলে গাড়ির নামে মামলা দিতে বলা হয়েছে পুলিশ সদস্যদের।
|