শিরোনাম: |
পুঁজিবাজারে বড় দুটি দূর্বলতা আছে -সালমান এফ রহমান
|
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বিএসইসি’র চেয়াররম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। অনুষ্ঠানে ডিএসই’র চেয়ারম্যান মো: ইউনুসুর রহমান সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ডিএসই মাল্টিপারপাস হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, আমি যেখানেই যাই, সেখানেই শেয়ারবাজারের বড় দুটি সমস্যার কথা বলি। এরমধ্যে একটি কাঠামোগত সমস্যা। কারণ আমাদের বাজার শুধুমাত্র ইক্যুইটিভিত্তিক বাজার, বলতে পারেন ডেবট নেই। এটি একটি বড় দুর্বলতা। তবে নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ডেবট মার্কেটের উন্নয়নে কাজ করছে। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে ইক্যুইটি ও ডেবট মার্কেট রেশিও সমান সমান। অনেক দেশে ডেবট মার্কেটে আকার ইক্যুইটির চেয়ে বেশি। তাই আমাদের দেশে ডেবট মার্কেটের আকার বাড়াতে হবে। শেয়ারবাজারের দ্বিতীয় বড় সমস্যা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, ম্যাচিউরড বাজারে প্রাতিষ্ঠানিকদের লেনদেনের পরিমাণ বেশি হয় এবং রিটেইলারদের (সাধারণ বিনিয়োগকারী) কম হয়। এমনকি সেখানে রিটেইলাররা ফান্ডের মাধ্যমে লেনদেন করেন। কিন্তু আমাদের দেশে ঠিক উল্টো। এ কারণে দেশের শেয়ারবাজারে উত্থান-পতন হয় বেশি। তিনি বলেন, ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে করপোরেট হতে হবে। এখনো আমাদের দেশে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে ব্রোকার মনে করা হয়। যে কারণে বিনিয়োগকারীরা নিজেরাই পোর্টফোলিও ম্যানেজ করে। এটা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর করা কথা। কিন্তু এজন্য ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে সত্যিকারের ইনস্টিটিউট হতে হবে এবং তাদের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা সৃষ্টি করতে হবে। সালমান এফ রহমান আরও বলেন, শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সুদহার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে সুদহার ১৭-১৮ শতাংশ বেশি বলে এক সময় বলতেন। এই বেশির কারণে খেলাপি ঋণ বেশি হয় বলে জানাতেন তিনি। যে কারনে উনি সুদহার কমানোর উদ্যোগ নেন। যার ধারাবাহিকতায় সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ করে দেন। তিনি বলেন, এফডিআর’র সুদহার এখন ৬ শতাংশের নিচে। তবে আমাদের সুকুক থেকে ৯ শতাংশ হারে দেওয়া হবে। এ কারণে এটি নিয়ে খুবই আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু পাবলিকের কাছ থেকে সেভাবে সাড়া পাইনি। তবে প্রাতিষ্ঠানিকদের অংশগ্রহণ ভালো ছিল। পাবলিকের সাড়া না পাওয়ার পেছনে সুকুকটির বিষয়ে ভালোভাবে তুলে ধরতে না পারা কারণ হিসেবে কাজ করেছে বলে আমার মনে হয়। অথচ এফডিআরওয়ালাদের জন্য সুকুক খুবই আকর্ষণীয়। এদিকে, সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা বেক্সিমকো গ্রীন সুকুক আল ইস্তিসনা বন্ডের প্রথম দিন লেনদেন ১১০ টাকায় শুরু হয়েছে। ১১০ টাকায় লেনদেন শুরু হলেও সকাল সাড়ে ১০টায় কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এ সময় পর্যন্ত বন্ডটির ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৭৮টি ইউনিট এক হাজার ৮৮১ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটির ১৪ কোটি ৩৫ লাখ ৪১ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত বেক্সিমকো গ্রীন সুকুক আল ইস্তিসনা বন্ডের ডিএসইতে ট্রেডিং কোড হচ্ছে : “BEXGSUKUK” এবং কোম্পানি কোড হচ্ছে : ২৬০০৮। |