শিরোনাম: |
জবি শিক্ষার্থী জীমের আজ তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী
|
২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি বড় ভাইয়ের সঙ্গে বগুড়ায় গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আ স ম জুলহাস জীম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচের আইন বিভাগের এই শিক্ষার্থী সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পৌঁছালে, ঝাঐল ওভারব্রিজ এলাকায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত হন। সঙ্গে থাকা বড় ভাই একেএম জাকারিয়া গুরুতর আহত হন। সড়কে প্রাণের সঙ্গে শেষ হয়ে যায় মেধাবীর স্বপ্ন। আজ (সোমবার) ছিল আ স ম জুলহাস জীমের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। জীমকে স্মরণ করে কথা গুলো বলছিলেন তাঁর সহপাঠী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুজ্জামান। আশিকুজ্জামান বলেন, গতকাল রাতে ফেসবুক মেমোরিতে জীমের মৃত্যুর বিষয়টি ভেসে উঠেছিল। অনেকেই নতুন করে ফেসবুকে জীমকে স্মরণ করে স্মৃতিগুলো লিখছিলো। সব অনুভূতি প্রকাশ করা যায় না। ভাবছিলাম বেঁচে থাকলে আমাদের সঙ্গে তাঁরও পড়াশোনা হয়তো শেষ হতো। পরিবারের জন্য কিছু একটা করতো।এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আ স ম জুলহাস জীমের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলাদ মাহফিলের ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদ এ আয়োজন করা হয়। মিলাদ মাহফিলে জীমের বিভিন্ন বিভাগের সহপাঠী, বিশ্ববিদ্যালয়ের বড়-ছোট ভাই, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। পরে তার রূহের মাগফিরাত কামনা করে মুনাজাত করা হয়। আ স ম জুলহাস জীম বগুড়া জেলার বৃন্দাবন পাড়ার তারাজুল ইসলামের ছেলে ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ছিল। জীম ও তার বন্ধু ওয়াসীর স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটকের একটি চত্বরের নাম করণ করা হয়ে। ওয়াসী শাখা ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন স্থলেই হিট স্ট্রোক করে মারা যায়।
|