শিরোনাম: |
ঢাকা শিশু হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ
|
ঢাকা শিশু হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ পেয়েছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। তিনি সরকারের লোকদের ভেতরে প্রবেশ করে বিএনপি ও জামায়াতের কাছে তথ্য পাচার করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।ওই চিকিৎসকের নাম ডাক্তার এসএম খালিদ মাহমুদ। তিনি বরিশালের একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রদলের ডাকসাইটে নেতা ছিলেন। জানা গেছে, ডাক্তার খালিদ মাহমুদ শিশু হাসপাতালে চাকরি করলেও বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। সরকারীদলের লোকদের সঙ্গে মিশে তিনি তথ্য সংগ্রহের পর তা বিএনপির কাছে পাঠিয়ে থাকেন। গোয়েন্দা সংস্থার মাঠ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, তার সঙ্গে কার কার সখ্যতা আছে তার একটি খসড়া তালিকা পাওয়া গেছে। সম্প্রতি তিনি বিএনপির সরকারবিরোধী তথা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত নেতাদেও সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের ভেতওে থাকা লোকদেও সঙ্গে মিলেমিশে থেকে গুরত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ কওে যাচ্ছেন। বিশেষ করে স্বাস্থ্যখাতের উচ্চপর্যায়ের লোকদের সঙ্গে সরকারের ভেতরের তথ্য ইনিয়ে বিনিয়ে নেওয়ার পর তা তিনি বিএনপির গন্তব্যে পাঠিয়ে থাকেন। ডাক্তার খালিদ মাহমুদেও চক্রে সরকারবিরোধী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। যারা সচিবালয়সহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতরের তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন। খসড়া প্রতিবেদনে জানা গেছে, আওয়ামীপন্থি ডাক্তার মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ডাক্তার খালিদের চক্রটি কাজ করে যাচ্ছে। ডাক্তার খালিদ নিজেকে সরকারের ভেতরের লোকদের সঙ্গে একাট্টা করে অনেক তথ্য পাচার করেছেন। পরিপূর্ণ প্রতিবেদন তৈরীর কাজটি এখনো প্রক্রিয়াধীণ রয়েছে। জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে একটি সংস্থার প্রতিবেদন তৈরীর পাশাপাশি তথ্যপাচার সংক্রান্ত যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে তা স্বাস্হ্য মন্ত্রনালয় ও স্বাস্থ্য সচিবের কাছে দ্রুতই পাঠানো হতে পারে। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের বরাত দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি এখন তদন্তাধীন ও প্রক্রিয়াধীন। তাই এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করার সময় হয়নি। |