আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সদরঘাটে নেই যাত্রীদের বাড়তি ভিড়। ফলে হতাশা প্রকাশ করেছেন লঞ্চমালিকরা। শনিবার (৩০ এপ্রিল) সদরঘাট ঘুরে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঈদকেন্দ্রিক যাত্রীদের বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা যায়নি।
লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগে সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ থাকলেও এখন সেভাবে যাত্রী মিলছে না। গতকাল লঞ্চ পরিপূর্ণ না হওয়ায় কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। যাত্রী ছাড়া ঈদের সময় লঞ্চ চলাচল করা সম্ভব নয়। আগে অধিকাংশ লঞ্চে যাত্রী পরিপূর্ণ হলে দিনের বেলায়ই ছেড়ে যেতো। এখন এলাকাভিত্তিক লঞ্চগুলো ছেড়ে গেলেও যাত্রী সংকটের কারণে বড় লঞ্চগুলো ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না।
সুরভী-৭ লঞ্চের স্টাফ মো. হাফিজ জাগো নিউজকে বলেন, ছুটির দিনের যে পরিমাণ যাত্রী থাকে তার অর্ধেকও নেই। এবার ভাগে ভাগে ছুটি হচ্ছে। তাই অল্প যাত্রী নিয়েই লঞ্চ ছাড়তে হচ্ছে। ঈদকেন্দ্রিক যে ব্যবসা হয় লঞ্চে সেটি এবার হচ্ছে না। বিকেলে যাত্রী কতটা হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পারাবত-১২ লঞ্চের এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিবার যে ব্যবসা করি ঈদকেন্দ্রিক এবার তা হচ্ছে না। যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। প্রতিবার সকাল থেকেই লঞ্চে যাত্রী পরিপূর্ণ থাকে। কিন্তু সেটাও হচ্ছে না। আজ গার্মেন্টস ছুটি হবে, সন্ধ্যায় যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে।
লঞ্চঘাটে দায়িত্বে থাকা বিআইডাব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা জানান, সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ঘাটে লঞ্চ ভিড়েছে ৭৬টি। এর মধ্যে ছেড়ে গেছে ৫৬টি লঞ্চ। কিছুক্ষণ পর পরই লঞ্চ মালিকদের বাড়তি যাত্রী না নিতে এবং সময়মতো ছেড়ে যেতে সতর্ক করা হচ্ছে। ছাদে যাত্রী নেওয়া হলে জরিমানার বিষয়েও হুঁশিয়ার করা হচ্ছে লঞ্চ মালিকদের।
টুটুল চৌধুরী নামে এক যাত্রী জাগো নিউকে বলেন, ‘প্রতি বছর লঞ্চে বাড়তি চাপ থাকলেও এবার তেমন চাপ দেখছি না। আমি পরিবারের সদস্যদের আগেই বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম যাত্রীদের বাড়তি চাপের কথা ভেবে। এখন দেখছি একেবারেই ফাঁকা। এমনটা জানলে একসঙ্গেই যেতে পারতাম সবাইকে নিয়ে।’
সদরঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর টিআই হুমায়ুন বলেন, যে কোনো ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের টিমও এখানে কাজ করছে, তারা লঞ্চগুলো ঘুরে দেখছেন। কেউ কোনো নিয়মের ব্যত্যয় ঘটালে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঢাকা-আমতলী-ঢাকা রুটে চলাচল করা শতাব্দি বাঁধন ও ইয়াদ-১ লঞ্চের যাত্রীরা রাত থেকে অপেক্ষা করছেন। আজ দুপুর ১২টায়ও ঘাট ছেড়ে লঞ্চ না ছাড়ায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। পরে তারা লঞ্চে বিক্ষোভ করেন। এরপর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় সাড়ে ১২টায় লঞ্চটি ছেড়ে যায়।
Chief Advisor: A K M Mozammel Houqe MP
Minister, Ministry of Liberation War Affairs, Government of the People's Republic Bangladesh.
Editor & Publisher: A H M Tarek Chowdhury Sub-Editor: S N Yousuf
Head Office: Modern Mansion 9th Floor, 53 Motijheel C/A, Dhaka-1223
News Room: +8802-9573171, 01677-219880, 01859-506614 E-mail :[email protected], [email protected], Web : www.71sangbad.com