শিরোনাম: |
চট্টগ্রামে খাদ্য সংকট থাকবে না :ড. মো. শাহজাহান কবীর
|
![]() বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার; দেশের কোথাও খাদ্য সংকট থাকতে দিবে না। সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। বুধবার (১১ মে) সকালে রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলার বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নের রংগাছড়ি এলাকায় অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ধানভিত্তিক খামার বিন্যাস উন্নয়নের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিকরণ বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শাহজাহান কবীর বলেন, রাঙামাটিতে জলে ভাসা অনেক জমি রয়েছে। আমরা এ জমি কাজে লাগিয়ে উচ্চফলনশীল ধান চাষ করার জন্য কৃষকদের সম্পৃক্ত করছি। সরকারের ঘোষণা কোনো পতিত জমি থাকবে না। তিনি বলেন, জলে ভাসা জমিতে ব্রিধান-৯২ এবং ৮১ অন্যতম উচ্চফলনশীল ধানের বীজ বপন করা হয়েছে। কৃষকরা তুলনামূলক ভাল ধান পেয়েছে। এর আগে, জলে ভাসা জমিতে চাষ করার জন্য কৃষকদের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে দুই কেজি ধানের বীজ দেওয়া হয়েছিল। সাধারণ ধানের চেয়ে এ ধানের উৎপাদন অনেক ভাল। সেচ ব্যবস্থা তেমন একটা লাগে না এবং অল্প সময়ে ফসল ঘরে তোলা যায়। রাইস ফার্মিং সিস্টেমস বিভাগ, ব্রি, গাজীপুরের সিএসও এবং বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙামাটি কার্যালয়ের উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি), গাজীপুরের সিনিয়র লিয়াজোন অফিসার কেবিডি এম আব্দুল মোমিনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কৃষকরা বক্তব্য দেন। এদিকে আলোচনা শুরুর আগে সুবলং ইউনিয়নের মিতিঙ্গাছড়ি এলাকায় ফসলের জমি ঘুরে দেখেন আগত অতিথিরা এবং নমুনা শস্য কর্তন করেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) তাদের উদ্ভাবিত ব্রি-৮১ উচ্চফলনশীল ধান পরীক্ষমূলকভাবে স্থানীয় ১৫ জন কৃষককে দুই কেজি করে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় কৃষকরা জলে ভাসা জমিতে এসব ধান চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। |