বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৪ চৈত্র ১৪৩০
শিরোনাম: ফেঞ্চুগঞ্জের তজমুল আলী চত্বরে এমপি হাবিবের পক্ষে ইফতার বিতরণ       মিনিস্টারের ‘শত কোটি টাকার ঈদ উপহার’ অফারে একটি রেফ্রিজারেটর কিনে আরও একটি রেফ্রিজারেটর ফ্রি পেলেন মোঃ আসাদুজ্জামান সুমন       গ্যালাক্সি এ১৫ ৫জি - দুর্দান্ত সব ফিচার ও অসাম ডিসপ্লে নিয়ে স্যামসাং গ্যালাক্সি এ সিরিজের নতুন চমক বাজারে       মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে       আইসিএসবি কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালিত       মিনিস্টার গ্রুপ এবং ফরাজী হাসপাতাল লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর       ইসলামী ব্যাংকের শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা স¤পন্ন      
পুষ্টিকর খাবারের অভাবে বিশ্বে কৃশকায় শিশুর সংখ্যা বাড়ছে: ইউনিসেফ
প্রকাশ: বুধবার, ১৮ মে, ২০২২, ৯:০১ এএম |

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বকে একটি জটিল বৈশ্বিক খাদ্য সংকটে নিমজ্জিত করেছে। ক্রমেই এই পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এর ফলে পুষ্টিকর খাবার না পেয়ে কৃশকায় শিশুর সংখ্যা আরও বাড়ছে।


মঙ্গলবার (১৭ মে) প্রকাশিত শিশুদের অবস্থা নিয়ে নতুন এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে ইউনিসেফ।

‘কৃশকায় অবস্থা: শিশুদের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে একটি উপেক্ষিত জরুরি অবস্থা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, শিশুদের মধ্যে কৃশকায় পরিস্থিতির মাত্রা বৃদ্ধি এবং জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসার জন্য ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পরও রুগ্ন শিশুদের জীবন বাঁচানোর জন্য বৈশ্বিক অর্থায়ন বর্তমানে হুমকির মুখে।

এ বিষয়ে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করেছে। তবে এর আগেই সংঘাত, জলবায়ুজনিত অভিঘাত ও কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পরিবারগুলোকে তাদের সন্তানদের খাদ্য জোগানের মূলে আঘাত করেছে। বিশ্ব দ্রুত প্রতিরোধযোগ্য শিশুমৃত্যু এবং কৃশকায় শিশুদের একটি ভার্চুয়াল টিন্ডারবক্সে পরিণত হচ্ছে।

বর্তমানে অন্তত এক কোটি শিশু বা প্রতি তিনজনে দুজন শিশু কৃশকায়। কিন্তু তারা এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা হিসেবে পরিচিত তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহারযোগ্য থেরাপিউটিক খাদ্য (আরইউটিএফ) পায় না। ইউনিসেফ সতর্ক করে বলছে, বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তায় ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব, মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ভুগতে থাকা দেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কিছু দেশে ক্রমাগত খরা পরিস্থিতির মতো বৈশ্বিক অভিঘাত সম্মিলিতভাবে বৈশ্বিক পর্যায়ে শিশুদের মধ্যে কৃশকায়তা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করছে।


এদিকে, কাঁচামালের দাম উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধির কারণে আগামী ছয় মাসে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহারযোগ্য থেরাপিউটিক খাদ্য বা রেডি-টু-ইউজ থেরাপিউটিক ফুডের দাম ১৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি ব্যয়ের বর্তমান মাত্রা বিবেচনায় জীবন রক্ষাকারী এই চিকিৎসা না পাওয়া শিশুর সংখ্যা আরও ছয় লাখ বাড়িয়ে দিতে পারে। পরিবহন ও সরবরাহ খরচও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এসব বিষয়ে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক বলেন, প্রতিবছর লাখ লাখ শিশুর জন্য এই থেরাপিউটিক পেস্টের প্যাকেটগুলো জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে। বৈশ্বিক খাদ্যের বাজারের পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি সামাল দেওয়া সম্ভব বলে মনে হতে পারে। কিন্তু সেই সরবরাহ শৃঙ্খলের শেষ ভাগে আছে নিদারুণ অপুষ্টিতে ভোগা শিশুরা। যাদের জন্য বিষয়টি সামাল দেওয়া একেবারেই সম্ভব নয়।

কৃশকায় শিশুরা তাদের উচ্চতার তুলনায় খুব বেশি শীর্ণ হয়ে থাকে। যার ফলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। এটি অপুষ্টির সবচেয়ে তাৎক্ষণিক, দৃশ্যমান ও মৃত্যুঝুঁকি তৈরির ধরন। বিশ্বব্যাপী পাঁচ বছরের কম বয়সী অন্তত এক কোটি ৩৬ লাখ শিশু কৃশকায় অবস্থার শিকার। যার কারণে এই বয়সী শিশুদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন মারা যায়।

দক্ষিণ এশিয়া কৃশকায়তার ‘কেন্দ্র’ হিসেবে রয়ে গেছে, যেখানে প্রতি ২২ জনের মধ্যে একজন শিশু কৃশকায়, যা সাব-সাহারা আফ্রিকার তুলনায় তিনগুণ। আর বাকি বিশ্বের দেশগুলো ঐতিহাসিকভাবে উচ্চ হারে কৃশকায়তার সম্মুখীন হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, আফগানিস্তানে ১১ লাখ শিশু এই বছর কৃশকায়তার শিকার হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে, যা ২০১৮ সালের প্রায় দ্বিগুণ।

শিশুদের অবস্থা নিয়ে সতর্কবার্তায় ইউনিসেফ আরও উল্লেখ করেছে, তুলনামূলকভাবে উগান্ডার মতো স্থিতিশীল দেশগুলোতেও ২০১৬ সাল থেকে কৃশকায় শিশুর সংখ্যা ৪০ শতাংশ বা তার বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কৃশকায় শিশুদের চিকিৎসায় প্রাপ্ত সহায়তা অত্যন্ত নিম্ন পর্যায়ে রয়ে গেছে। আগামী বছরগুলোতে এটি আরও কমবে বলে ধারণা করা হয়। ২০২৮ সালের আগে প্রাক-মহামারি পর্যায়ে পুনরুদ্ধারের আশাও খুব ক্ষীণ। সংক্ষিপ্ত একটি নতুন বিশ্লেষণ অনুসারে, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য খাত ওডিএ’র (অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স) মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং মোট ওডিএ'র মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ ব্যয় হয় কৃশকায় শিশুদের চিকিৎসায়।

কৃশকায় এসব শিশুদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ইউনিসেফ কিছু আহ্বান জানিয়েছে। সেগুলো হলো-

বেশি সংখ্যক কৃশকায় শিশু থাকা শীর্ষ ২৩টি দেশের এই অসুস্থ শিশুদের কাছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে হবে। এ জন্য ওইসব দেশের সরকারকে ২০১৯ সালের ওডিএ’র চেয়ে অন্তত ৫৯ শতাংশ বেশি সহায়তা প্রদান করতে হবে।

দেশগুলোকে স্বাস্থ্য খাতের আওতায় কৃশকায় শিশুদের চিকিৎসা এবং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন তহবিল ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যাতে শুধু মানবিক সংকটময় পরিস্থিতিতে থাকা শিশুরা নয়, বরং সব শিশুই চিকিৎসা কর্মসূচি থেকে উপকৃত হতে পারে।

বৈশ্বিক ক্ষুধা সংকট মোকাবিলায় অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে কৃশকায়তায় আক্রান্ত শিশুদের জরুরি প্রয়োজনগুলো মেটাতে থেরাপিউটিক ফুডের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য নির্দিষ্ট বরাদ্দ যাতে থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।

দাতাদের সহায়তার বৈচিত্র্যময়, ক্রমবর্ধমান এবং স্বাস্থ্যকর ইকোসিস্টেম নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে দাতা ও সুশীল সমাজের সংস্থাগুলো কৃশকায় শিশুদের চিকিৎসার জন্য তহবিল প্রদানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।






আরও খবর


Chief Advisor:
A K M Mozammel Houqe MP
Minister, Ministry of Liberation War Affairs, Government of the People's Republic Bangladesh.
Editor & Publisher: A H M Tarek Chowdhury
Sub-Editor: S N Yousuf

Head Office: Modern Mansion 9th Floor, 53 Motijheel C/A, Dhaka-1223
News Room: +8802-9573171, 01677-219880, 01859-506614
E-mail :[email protected], [email protected], Web : www.71sangbad.com