শিরোনাম: |
সাতক্ষীরার বিষমুক্ত রপ্তানিযোগ্য হিমসাগর পাড়া শুরু
|
![]() রপ্তানি তালিকায় এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হংকংসহ আরও কয়েকটি দেশ। মধুমাস জ্যৈষ্ঠের এ খরতপ্ত সময়ে বৃহস্পতিবার (১৯ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে রপ্তানিযোগ্য আম গাছ থেকে পাড়া শুরু হয়েছে। গত ৫ মের পর থেকে কয়েক দফায় পরীক্ষামূলকভাবে গোবিন্দভোগ ও হিমসাগর আম হংকং, জার্মানি ও লন্ডনসহ কয়েকটি দেশে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরার কলারোয়ার ইলিশপুরে জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির আনুষ্ঠানিকভাবে রপ্তানিযোগ্য বিষমুক্ত নিরাপদ আম পাড়া উদ্বোধন করেন। এসময় সেখানে সাতক্ষীরা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুল ইসলামসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সাতক্ষীরা থেকে এ আম কিনেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উত্তরণ সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া তা সংগ্রহ করে বিদেশে পাঠানো শুরু করেছে। জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, সাতক্ষীরার খ্যাতি ধরে রাখার জন্য এবারও বিষমুক্ত নিরাপদ আম দেশে ও বিদেশে বাজারজাতকরণ করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ পুষ্ট, মিষ্ট এ আমের কদর রয়েছে সারা বিশ্বে। আমরা এ সুনাম ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর সাতক্ষীরার ৫২ হাজার বাগানের ৪১১৫ একর জমিতে ১৩ হাজার কৃষক আম চাষ করেছেন। তাদের মধ্যে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনের জন্য আমরা ৫০০ চাষিকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়েছি। কোনো কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই ফেরোমেন ফাঁদের মাধ্যমে পোকামাকড় দমন করে এবং বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করে এ আম উৎপাদন করায় তা অত্যন্ত নিরাপদ। এ বছর সাতক্ষীরা জেলা থেকে ১০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানির কথা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৩০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। কলারোয়ার ইলিশপুরের আমবাগান মালিক মো. ডাবলু বলেন, আমের উৎপাদন এবার কম। তবে দাম কিছুটা বেশি পাওয়ায় ক্ষতিপূরণ করে নেওয়ার চেষ্টা করব। প্রতি বছরই আমার বাগান থেকে বিদেশে আম পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার আমি আরও ২০০ কেজি হিমসাগর জাতের আম ক্রেতাদের হাতে তুলে দিয়েছি। |