শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৮ আশ্বিন ১৪৩০
শিরোনাম: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাহাড়ে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন নিশ্চিত হয়েছে - ত্রিপুরা এমপি       এবার বরুড়ার ঝলম ইউনিয়নে ভাগ্যোন্নয়নে এগিয়ে আসলেন শফিউদ্দিন শামীম       আসন্ন ক্রিকেট বিশ্বকাপ সামনে রেখে গ্রাহক চাহিদার শীর্ষে মিনিস্টার টেলিভিশন       যুদ্ধ ও সংঘাতের পথ পরিহার করে মানব কল্যাণে কাজ করুন: শেখ হাসিনা        বেলজিয়াম সাংবাদিকের দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু হত্যা, জিয়ার ভূমিকা --বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক       জাতিসংঘ সামনে 'সেপ্টেম্বর লীগ ও দলের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে ঘিরে উত্তেজনা        গভীর সংকট থেকে জাতিকে উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীকে এগিয়ে আসার আহবান      
পদ্মা সেতু, অতি কথন ও করণীয়
প্রকাশ: সোমবার, ৪ জুলাই, ২০২২, ৮:২০ পিএম |

মেহেদী হাসান শিমুল গুলশান, ঢাকা : একজন মানুষের বয়স কত হলে তাকে ম্যাচিউর বলা যায় ? আমাদের দেশে সরকারি চাকুরীতে প্রবেশের  বয়স সীমা ৩০ বছর আর অবসরের বয়স ক্ষেত্র বিশেষ ৫৮ থেকে ৬৫ বছর। এরপর তাদেরকে আর পেইড সার্ভিসে তেমন দেখা যায় না। তাহলে কি ধরে নেয়া যায় তারা তাদের উপযোগিতা হারিয়ে ফেলে ? না ব্যতিক্রমও দেখা যায় রাজনীতি থেকে শুরু করে দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদেও অনেক সত্তরোর্ধ ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। যেমন আমাদের বর্তমান রাষ্ট্রপতির বয়স ৭৮ বছর আর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির বয়স ৭৯।


যাইহোক, ব্যক্তির থেকেও যখন রাষ্ট্রের বয়স কম তখন ম্যাচুউরিটির কিছুটা হেরফের হতে পারে। প্রসঙ্গ যখন পদ্মা সেতু তাহলে উদ্বোধন দিয়েই শুরু করি। কারণ পদ্মা সেতু নিয়ে আমার সীমিত ধারণা নিয়ে যাই বলি না কেন কম হয়ে যেতে পারে। তবে এ কথা বলতে পারি আমি আমার জীবনে এর আগে রাষ্ট্রের তথা সরকারের এত বড় অর্জন দেখিনি।

 

ঘটনাঃ ১

মন্ত্রী পরিষদ সচিব জনাব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অত্যন্ত দায়িত্বশীল ও জ্ঞানী ব্যক্তি। সার্ভিসের সকল ক্ষেত্রেই তার অবদান প্রতীয়মান। বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ার সামনে তার উপস্থিতি ও বক্তব্যই বলে দেয় তার প্রজ্ঞা ও প্রতিপত্তির পরিমাপ। উদ্বোধনী দিনে তার বক্তৃতা ও বক্তৃতার বিষয়বস্তু তার দৃঢ়তাকে প্রমাণ করে। তার চোখের পানি অনেক কেই করেছে আবেগী। কিন্তু উদ্বোধন এর আগে আগে দেশী-বিদেশী গণমাধ্যমের সামনে তিনি যখন উদ্বোধনী বেধিতে নানা বিষয়বস্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে মাইকে বোঝাচ্ছিলেন, এক পর্যায়ে তিনি আবার বলেছেন, “স্যার সেটা আপনিই দেখে দিসেন স্যার।”

তাহলে প্রশ্ন হলে এটা মাইকে বলার কি আছে ? উদ্বোধনী বেধির বিষয়বস্তু খালি গলায়ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বোঝানো যেত। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এত কিছুর খবর রাখেন আর উদ্বোধনী বেধিতে কি হবে সেটা তার নলেজে কি ছিল না ? অবশ্যই ছিল। এই সেতুর প্রতিটির কনার সাথেই তার পরিচয় আছে। কারণ এই সেতু তার সিদ্ধান্তেরই ফসল। আমলা বা অর্থনীতিবিধদের মতামত নিলে তা কখনোই বাস্তাবে রূপ নিত না। কাজেই এ ধরণের একটি ঘটনা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পূর্ণতার পথে বাধাঁ।



ঘটনাঃ ২

উদ্বোধনের আগে আমরা দেখলাম নিরাপত্তা ইস্যুতে বেশ কড়াকড়ি। এমনকি কিছু কাজও অসম্পূর্ণ রাখা হলো নিরাপত্তা ইস্যুতে। বিভিন্ন বাহিনীর ব্যক্তিত্ববান ব্যক্তিবর্গ গরমকে উপেক্ষো করেও মিডিয়ার সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিশদ বর্ণনা করছিলেন। ফলশ্রুতিতে আমরা দেখলাম একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি নারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চের কাছাকাছি চলে গিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বভাব সূলভভাবে তার সাথে ইঙ্গিতে কথাও বলেছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর উদারতা।

আর আপনারা যারা মিডিয়ার সামনে কথা বলেন তাদের দৈন্যতা। তাহলে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে যা বলা হয় তা কি সুভঙ্করের ফাকিঁ ? পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের রাজিব গান্ধির ক্ষেত্রেও এ ধরণে একটি ঘটনা ঘটেছিল। খালি রিটারমেন্ট এর পরে কোন আসন থেকে নির্বাচন করবেন, নাকি কোন দেশের রাষ্ট্রদূত হবেন তা নিয়ে বিভোর থাকলে হবে ?

 

ঘটনাঃ ৩

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরপরই উৎসুক জনতা বাদর ঝোলা দিয়ে কোন রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই পদব্রজে সেতু পরাপারের যে ব্যর্থ চেষ্টা করল তাও মিডিয়ার কল্যাণে বিশ্ববাসী দেখেছে। নিয়ম ভাঙ্গাই যেন আমাদের নিয়মে পরিনত হয়েছে। যেহেতু ১০ লক্ষ লোক জড়ো করার একটি বিশাল মাইল ফলক অর্জন করা এতো সহজ বিষয় ছিল না। এই অসাধ্য সাধনের জন্য সাধুবাদ দেওয়া যেতেই পারে। এটা বড় ধরণের একটি রাজনৈতিক সফলতা ও বটে। অনুষ্ঠানে আগত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতা কর্মীদের প্রায় সকলেই আওয়ামী লীগ ও সরকার সমর্থিত।  তাহলে কারা নিয়ম ভাঙ্গার চেষ্টা করল, এতে এ ধরণের অর্জন কি ম্লান হয় না ? তাহলে কি আমাদের কর্মীরা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নাই ?

 

ঘটনাঃ ৪

উদ্বোধনের পরের দিন, নাট-বল্টু খোলা, মূত্র বিসর্জন, মটর সাইকেল রেস, ফটো সেশন, যানজট, মানবজট, প্রাণহানী, টোল আদায়ে ধীরগতি ইত্যাদি ঘটনার পর কর্তৃপক্ষের টনক নড়ল কেন ? জাতি হিসেবে আমাদের বৈশিষ্ট সমূহ কি আমাদের অজানা ছিল ? নাকি আমাদের  চিন্তার পরিধির সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার পর পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে আমরা যে ধরণের পদক্ষেপ নিলাম তা আগে নিলে এ ধরণে অপ্রীতিকর ঘটনা কি এড়ানো যেত না ? আমরা যত কথা বলি তার অর্ধেক হলেও  যেন কাজ করার চেষ্টা করি, আর না হয় নিরব থাকাই শ্রেয়।






আরও খবর


Chief Advisor:
A K M Mozammel Houqe MP
Minister, Ministry of Liberation War Affairs, Government of the People's Republic Bangladesh.
Editor & Publisher: A H M Tarek Chowdhury
Sub-Editor: S N Yousuf

Head Office: Modern Mansion 9th Floor, 53 Motijheel C/A, Dhaka-1223
News Room: +8802-9573171, 01677-219880, 01859-506614
E-mail :71sang[email protected], [email protected], Web : www.71sangbad.com