
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে শিশুদের খেলা নিয়ে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে হামলা ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের নারীসহ চার জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতরা হলেন শাহাদাৎ ফরাজী (৩৫) ও তার স্ত্রী কুলসুম বেগম (৩০) এবং প্রতিপক্ষ একই বাড়ির নাছরিন বেগম (২৫) সহ আহতদের উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে শাহাদাৎ ও তার স্ত্রী কুলসুমের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে একই বাড়ির রুহুল ফরাজি ও শাহাদাৎ ফরাজী ছেলে-মেয়েদের মধ্যে খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া শুরু হয়। পরে উভয় শিশুদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে শাহাদাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং প্রতিপক্ষকে গালাগাল দেয়। এসময় রুহুলের মা জাহানুরের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র (দা) দিয়ে শাহাদাৎ এর মাথায় কোপ দেয়। শাহাদাৎকে বাঁচাতে তার স্ত্রী কুলসুম বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাথারি ভাবে কোপাতে থাকেন। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের নারীসহ চার জন আহত হয়েছেন।
অভিযুক্ত জাহানুর বেগম বলেন, খেলাধুলা নিয়ে নাতনিদের মধ্যে ঝগড়া হয় পরে রাতে বাড়িতে এসে শাহাদাৎ গালিগালাজ করে। পুত্রবধূ নাসরিন গালি দিতে নিশেধ করলে উভয়ের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।
এ বিষয় ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হক জানান, আহতদের উদ্ধার করে রাতেই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।