শিরোনাম: |
ঈদে বাড়ি ফেরা কি খুব জরুরি
|
![]() ঈদে বাড়ি ফেরা কি খুব জরুরি বন্ধুর কাজ থাকায় পরদিন ট্রেনে ফিরবে। তার ট্রেন ছেড়েছে সময় মতো। স্টেশনে ছিল না কোন অতিরিক্ত যাত্রী চাপ। যারা টিকিট কিনেছে তারাই ট্রেনে উঠে বাড়িতে ফিরছে। আরেক বন্ধু ঈদে বাড়ি ফেরা টিকিট সংগ্রহ করতে পারেনি। তাই এবার ঈদ ঢাকাতেই করার সিদ্ধান্ত তার। কর্মস্থলে সময় দিয়ে ঈদের দুদিন পরে ফিরবে বাড়িতে, পরিবারে প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে। কারণ তার কাছে সুস্থ ভাবে ফেরাটাই মূল উদ্দেশ্য। এই ভাবনাগুলো সম্পূর্ণ কাল্পনিক। তবে এমনটি তো আসলে হওয়ার কথা। ঈদ আসবে আমাদের বাড়ি ফেরার জন্য আবেগ থাকবেই। প্রিয়জনদের থেকে অনেক দূরে ঈদ করাটা কতটা কষ্টের বলে প্রকাশ করার সুযোগ নেই। তবে কোনভাবেই ঝুঁকি নিয়ে নিজের ও অন্যকে কষ্ট দিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে এর কোন যৌক্তিকতা নেই। এবার যদি দেখি বাস্তবতা: দেশে পরিবহন সংকট আছে। এক সঙ্গে এতো মানুষ বাড়ি ফিরতে চায়, ভোগান্তি তো হবেই। কিন্তু ভোগান্তি কমানোর তো পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন। ঈদ উপলক্ষে দুই এক দিন আগেই সবার কি বাড়ি ফেরা জরুরি? বিশেষ করে ট্রেনে সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠান। ট্রনের ইঞ্জিন, ছাদ, বগির ভেতরে বাহিরে যেখানে সেখানে উঠে পরা মানা যায় না। একে তো অতিরিক্ত মানুষদের কাছে টিকিট থাকেনা, তার ওপর যেই মানুষ গুলো টিকিট কিনে, তারাও ঠিক ভাবে যেতে পারে না। অনেক সময় দেখা যায় ভোগান্তি এড়াতে টিকিট কিনেও অনেকে যাত্রা করে না। এতো মানুষের ভীড়ে যাত্রা আরও কষ্ট বাড়িয়ে দিবে। আর বাসে গেলে তো যানজট আছেই। এত এত গাড়ির চাপে নারী শিশু যেকোনো বয়সের মানুষ এই ভোগান্তির সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়বে। নিশ্চয়ই যারা যাত্রা করছেন, তাদের সবার একসঙ্গে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ অংশে আরও কয়েকদিন আগেই বাড়ি ফিরতে পারতো। আবার কেউ ঈদের পরেও বাড়ি ফিরতে পারবেন। আর এতে করে খুব জরুরী যাদের বাড়ি যাওয়া প্রয়োজন তারা ফিরতে পারতেন স্বস্তির সঙ্গে। আমাদের দেশে জনসংখ্যা যেহেতু বেশি। প্রতিবছর ঈদ এবং বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে মানুষের বাড়ি ফেরতে সড়কে ও যানবাহনে বাড়ে চাপ। তাই এ সময় সেবা দিতে তৈরি করতে হবে এমন হবে পরিকল্পনা যেখানে থাকবে না ভোগান্তি। |