শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৮ আশ্বিন ১৪৩০
শিরোনাম: বেলজিয়াম সাংবাদিকের দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু হত্যা, জিয়ার ভূমিকা --বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক       জাতিসংঘ সামনে 'সেপ্টেম্বর লীগ ও দলের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে ঘিরে উত্তেজনা        গভীর সংকট থেকে জাতিকে উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীকে এগিয়ে আসার আহবান       জাতিসংঘের গভীর সমুদ্র বিষয়ক চুক্তিতে সই করলেন প্রধানমন্ত্রী       ধনী দেশগুলোর মাঝে সততা না থাকলে জলবায়ু সংকট এড়ানো সম্ভব নয়: প্রধানমন্ত্রী       আজ ৭৮তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী       বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক শক্তি বাংলাদেশ       
একতা-নীলসাগরসহ ৫ ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
প্রকাশ: রোববার, ১৭ জুলাই, ২০২২, ১০:১৭ এএম |

জয়পুরহাটে একতা এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় ওই রুটের ঢাকামুখো পাঁচটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। শনিবার (১৬ জুলাই) ভোরে যেসব ট্রেন কমলাপুর পৌঁছানোর কথা ছিল, সন্ধ্যা পর্যন্তও পৌঁছায়নি সেগুলো। ফলে ঢাকা থেকেও নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছেড়ে যায়নি এসব ট্রেন।

এমন পরিস্থিতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন একতা এক্সপ্রেসসহ ওই রুটে চলাচলকারী নীলসাগর এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের যাত্রীরা।

সন্ধ্যায় কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের পৌঁছানোর কথা ভোর ৬টায়। কিন্তু সন্ধ্যায়ও পৌঁছাতে পারেনি। একতা এক্সপ্রেস পৌঁছানোর কথা ছিল সকাল ১০টার মধ্যে, কিন্তু লাইনচ্যুত হওয়ায় সেটিরও কোনো খোঁজ নেই। দ্রুতযান এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসেও আটকে আছে বিভিন্ন স্টেশনে। ফলে রাতে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও কখন যাবে তা নিশ্চিত বলতে পারছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, একতা ট্রেনটির একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ওই রুটে চলাচলকারী পাঁচটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে।


একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আজ ভোর ৪টা ৪৮ মিনিটে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর স্টেশন ছেড়ে যায়। ছেড়ে যাওয়ার ১২ মিনিট পর আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর স্টেশনে ট্রেনটির একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটি তিলকপুর রেলস্টেশনে ছয় ঘণ্টা আটকে ছিল।

এ অবস্থায় ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভোর ৫টা ৮ মিনিটে আক্কেলপুর ঢোকে। তখন থেকে ট্রেনটি আক্কেলপুর রেলস্টেশনে আটকে থাকে। অন্যদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি সান্তাহার রেলস্টেশনে আটকে থাকে। ছয় ঘণ্টা পর ওই রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।

কমলাপুর থেকে নীলসাগর এক্সপ্রেস ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে না যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন উত্তরবঙ্গগামী মানুষ। অনেকে বিকল্প হিসেবে রংপুর এক্সপ্রেসসহ রাজশাহীগামী অন্যান্য ট্রেনে যাত্রা করেন। অনেকে আবার টিকিট ফেরত দিয়ে যাত্রা বাতিল করেন।



ফুলবাড়িগামী যাত্রী সালমা ইসলাম বলেন, সকাল থেকে নীলসাগরের জন্য অপেক্ষা করছি। প্রথমে শুনলাম ৩টার মধ্যে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে। এখনো (সন্ধ্যা) কোনো খবর নেই। কেউই কিছু বলতে পারছে না। কখন ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছাবে জানি না। খুব কষ্ট হচ্ছে, তারপরও যাওয়াটা জরুরি বলে অপেক্ষা করছি।

তিনি বলেন, অনেকে বিকল্প ট্রেনে চলে গেলেও দিনাজপুরের যাত্রীদের জন্য বিকল্প ট্রেনে সান্তাহারের বেশি যাওয়া সম্ভব নয়। সেখান থেকে দিনাজপুর যাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য।

আবার ওইসব ট্রেনে যারা যাত্রী ঢাকা ফিরছিলেন, তারাও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। লাইন সচল হতে দেরি হওয়ায় অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

তবে ওই রুটের ট্রেন ছাড়া শনিবার চট্টগ্রাম ও খুলনাগামী আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো মোটামুটি ঠিক সময়ে পৌঁছেছে। ফলে স্বাচ্ছন্দ্যেই ঢাকা ফিরেছেন এসব ট্রেনের যাত্রীরা।

সন্ধ্যায় চিত্রা এক্সপ্রেসে আসা যাত্রী তহিদুল ইসলাম বলেন, ঠিক সময়ে ট্রেন এসেছে। কোনো সমস্যা হয়নি। যাত্রা মোটামুটি আরামদায়ক ছিল।






আরও খবর


Chief Advisor:
A K M Mozammel Houqe MP
Minister, Ministry of Liberation War Affairs, Government of the People's Republic Bangladesh.
Editor & Publisher: A H M Tarek Chowdhury
Sub-Editor: S N Yousuf

Head Office: Modern Mansion 9th Floor, 53 Motijheel C/A, Dhaka-1223
News Room: +8802-9573171, 01677-219880, 01859-506614
E-mail :71sang[email protected], [email protected], Web : www.71sangbad.com