শিরোনাম: |
'সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজন কঠোর আইন ও বাস্তবায়ন’
|
সড়ক দুর্ঘটনা দেশে মহামারী আকার ধারণ করেছে বলে জানান এবি পার্টির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। আজ সোমবার ( ১ আগস্ট -) দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত, বাংলাদেশ জ্ঞান সৃজনশীল প্রকাশক, সাংবাদিক নেতা, নয়াদেশ বিশেষ প্রতিনিধি, মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদারকে দেখতে তার বাসায় যান এবি পার্টির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল। দুর্ঘটনায় অলিদ তালুকদারের ডান পায়ের হাটুর নীচে হাড় ভেঙ্গে দুই ভাগ হয়ে গেছে। তাড়ি সাথে মাথায় আঘাত ও শারীরিক অন্যান্য জায়গায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত। হাসপাতাল থেকে বর্তমানে তিনি শর্যাশায়ী অবস্থায় বাসায়, চিকিৎসককের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ।
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন দেশের সড়ক ব্যবস্থা পুরোপুরি বিশৃঙ্খল। এখানে প্রতিনিয়ত মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে যা একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের মৃত্যুর পরিসংখ্যানকেও হার মানায়। হাজার হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরন করছে। এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ দ্রুত অলিদ তালুকদারের সুস্থতা কামনা করেন এবং দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া চেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, শুধু কঠোর আইন প্রণয়ন করে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব না। এজন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সড়কখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। আইনের যথাযথ প্রয়োগ যেমন দরকার, তেমনি আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হতে হবে। সে ক্ষেত্রে গণপরিবহনখাতে বিরাজমান নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে সোচ্চার করে তোলা অপরিহার্য। এছাড়া যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সড়কের ওপর অধিক নির্ভরশীলতা কমাতে নৌ ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারিত ও আধুনিকায়ন করতে হবে বলে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ মন্তব্য করেন। ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজন কঠোর আইন ও বাস্তবায়ন’ বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা হওয়ার অন্যতম কারণ আমরা আইন মেনে চলি না । তাই সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজন কঠোর আইন ও বাস্তবায়ন বলে মন্তব্য করেছেন এবি পাটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব, রাজনীতিবীদ আনোয়ার সাদাত টুটুল। তিনি টুটুল আরোও বলেন, বাংলাদেশে চালক ও পথচারী উভয়ের জন্য কঠোর বিধান যুক্ত করে কার্যকর করা হয়েছে বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮। তবে, বর্তমান আইনটির এখনও কিছু দুর্বল দিক রয়েছে যার জন্য সড়ক ব্যবহারকারীরা আইন লঙ্ঘন ও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ চলতি বছরে সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছেন সরকার। গাড়ির গতি নিদিষ্ট করে দেওয়া, চালক ও যাত্রীদের জন্য সিটবেল্ট ব্যবহার বাধ্যতামূলক, মানসম্মত হেলমেটের ব্যবহার, শিশুদের জন্য নিরাপদ আসন নিশ্চিত করা ইত্যাদি সংশোধিত আইনে অন্তর্ভুক্ত করা একান্ত জরুরি। |