শিরোনাম: |
নেশার টাকার জন্য পারিশার মোবাইল ফোন ছিনতাই
|
![]() নেশার টাকার জন্য পারিশার মোবাইল ফোন ছিনতাই (বুধবার) সকাল সাড়ে দশটায় তেজগাঁও থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তেজগাঁও বিভাগের পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রুবাইয়াত জামান। রুবাইয়াত জামান বলেন, গত ২১ জুলাই রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পারিশা আকতারের মোবাইলটি বাস থেকে ছিনিয়ে নেয় রিপন ওরফে আকাশ। তাকে ধাওয়া করলে মুঠোফোনটি আরেক ছিনতাইকারীর কাছে হাতবদল করে পালিয়ে যায় রিপন। রুবাইয়াত আরও বলেন, পারিশার ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনটি কারওয়ান বাজারের একটি দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়। ছিনতাইকারীদের বরাদ্দকৃত তথ্য অনুযায়ী। পরবর্তী আমরা ওই দোকানদার শফিককেও গ্রেপ্তার করেছি ছিনতাই হওয়া মুঠোফোন কিনার অপরাধে। এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত ২৪ জুলাই কারওয়ান বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রিপনকে। রিপনের সহযোগী হিসেবে ছিলেন ১৭ বছর বয়সী আরেক তরুণ নেশাগ্রস্ত শিশু। ওই দুই ছিনতাইকারী পুলিশি জিজ্ঞেসাবাদ শেষে মোবাইল ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছেলেটি ও রিপন বলে, তারা ৪ হাজার টাকায় মুঠোফোনটি বিক্রি করে দেয়। রিপন নেয় ১ হাজার টাকা আর ১৭ বছরের ছেলেটি নেয় ৫০০ টাকা। বাকি টাকায় তারা মদ কিনে খায়। তিনজনকে অভিযুক্ত করে আজ বুধবার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। গবেষণার কাজে গত ২১ জুলাই সকালে রাজধানীর সদরঘাট থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানা গিয়েছিলেন পারিশা। সারা দিন কাজ করে তানজিল পরিবহনের বাসে করে ফেরার সময় কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে এক ছিনতাইকারী তাঁর মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। ওই ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করে ধরতে পারেননি তিনি। তবে আরেকজনের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময় এক ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলেন। কৌশলে ওই ছিনতাইকারীর এক সহযোগীকেও আটক করা হয়। পরে দুই ছিনতাইকারীকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন ওই শিক্ষার্থী। দীর্ঘ এক বছর মিরপুর চিড়িয়াখানা থেকে বন্য প্রাণী হাতির ওপর গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। মুঠোফোনে ওই সব তথ্য থাকায় প্রতিবেদন তৈরিতে বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়ে তাঁকে। সংবাদ সম্মেলনে পারিশা বলেন, আমি আসলে অনেক খুশি। পুলিশ প্রতিনিয়ত আমাকে আপডেট জানিয়েছে। ছিনতাইকারী ধরা পড়েছে তাতে খুশি। আর ছিনতাইকারী যাতে আবার ছাড়া পেয়ে ছিনতাইয়ে না জড়ায়। ছিনতাইকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য আমার যেখানে যাওয়া প্রয়োজন আমি সেখানে যাব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই মোবাইলটি খুব দরকার ছিল। তাই ছিনিয়ে নেওয়ার পর ঝুঁকি নিয়ে তাড়া করি। ২৮ জুলাই থিসিস জমা দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন পারিশা। |