শিরোনাম: |
প্রকৃতিপ্রেমীদের পদ্ম ও শাপলা নজর কাড়ছে
প্রকৃতিপ্রেমীদের পদ্ম ও শাপলা নজর কাড়ছে
|
![]() সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নবাবগঞ্জ উপজেলার আশুরার বিলে ফুটেছে হাজারও পদ্ম ও শাপলা ফুল। বর্ষায় পানির মাঝে প্রকৃতির সকীয়তায় ফুটে থাকা এই পদ্ম যেন মানুষের তৈরি করা ফুল বাগানের চেয়েও উপভোগ্য। বিস্তীর্ণ বিলজুড়ে থৈ থৈ করছে পানির জলধারা। উপরে নীল আকাশ, নিচে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য। বিলের চারপাশে সবুজের সমাহার আর ফুটে থাকা অজস্র পদ্মফুল। এ যেন শিল্পীর নিপুণ হাতে গড়া লাল-সাদা আবরণে মোড়ানো এক অপরূপ সৌন্দর্যের নীল জলরাশি। দূর থেকে দেখে প্রকৃতিপ্রেমীদের তাই মনে হবে। বিলের পদ্ম ও শাপলা ফুলের আকৃষ্টতা দেখে দুই নয়নে তাকিয়ে থাকছেন শত শত দর্শনার্থী। স্নিগ্ধতার রঙ আর পূর্ব আকাশের অস্তিম সূর্য মিলে একাকার এখানকার প্রকৃতি। ফুলের রানিও বলা হয় পদ্মফুলকে। বিলের একাংশে ফোটে শাপলা, অপর অংশে ফোটে পদ্ম। তাই আশুরার বিলের শাপলা আর পদ্মফুলের সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন আসেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। ![]() নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানে আসা ইয়াসির আরাফাত, রুবেল, মাজহারুল ইসলাম, সালমা খাতুন জানান, আমাদের বাসা ঘোড়াঘাটে। পরিবারের সবাই মিলে অনেক দিন পর বাসা থেকে আমরা ঘুরতে এসেছি আশুরার বিলে। অনেকের মুখে শুনেছি আশুরার বিলে সকাল এবং বিকাল বেলা পদ্ম ও শাপলা ফুটে। যার জন্য সকাল সকাল এসেছি শাপলা এবং পদ্মফুল দেখতে। এখানে এসে আমাদের মন জুড়ে গেল। অনেক সুন্দর পরিবেশ। আমাদের খুব ভালো লেগেছে। নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান আশুরার বিল রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমান জানান, আশুরার বিলে বর্ষার সময় বিভিন্ন ধরনের পাখি আসে এবং সেই সঙ্গে শাপলা, পদ্মা ফুল ফুটে। দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশুরার বিলের উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে প্রশাসন কাজ শুরু করেছে। ![]() নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ সোম জানান, নবাবগঞ্জ আশুরার বিলের উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ শুরু করার জন্য ইতোমধ্যে পর্যটন মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পুলিশ ফাঁড়িও তৈরি করা হচ্ছে। |