লেখক: মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার : শাকিব খান নামের হিরোরূপী ভিলেনের কাণ্ড-কীর্তি নিয়ে লিখতে রুচিতে বাঁধে। যদিও এ ধরনের ঘটনাকে ব্যক্তিগত দুষ্কর্ম ভেবেই স্বস্তি পান আমাদের অনেকেই। বাতকে বাত বলা হয়, সাংবাদিকরা এ নিয়ে ব্যস্ত কেন? কে কাকে বিয়ে করলো,কাকে ছাড়লো,কার খাঁচায় বাচ্চা এলো? কেন এসবে উঁকি দেবে সাংবাদিকরা? শোবিজ কেনো, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আমাদের পেশা থেকে শুরু করে বস্তিতেও হরহামেশা সঙ্গী বদল হয়। এসব কি কোনো ঘটনার মধ্যে পড়ে? ওইসব নারী-পুরুষের বেডরুম বা জানালা ফাঁক করে দেখা হয়?
নারী উপাদান যোগ করলে নিউজ ভালো খায় বলেও একটা কথা রয়েছে। দেশের সাংবাদিকতা নিউজ আইডিয়ার ক্ষেত্রে সক্ষমতা হারাচ্ছে বলে অভিযোগও আছে। এসব অভিযোগ ও প্রশ্ন অযৌক্তিক নয়। তবে, এর বিপরীতেও কথা থাকে। শাকিব খান বা কোনো অভিনেতা-অভিনেত্রী একেবারে ব্যক্তিগত নন। তারা ব্যক্তিগতের সীমানা পেরিয়ে দেশের সম্পদ। বহুজনের আইকন, আইডল, প্রিয়জন। তাদের কাজকর্মের ফল-কুফল একক বা একান্ত পারিবারিক সীমানায় থাকে না। এর প্রভাব পড়ে হাজার-হাজার মানুষের উপরও। বুবলী-শাকিব বিষয়ক লেখার তাগিদটা এসেছে এ কারণেই।
অপরাধমূলক কাজ না হলে কারো ঘর-সংসার,পরিবার,সঙ্গী বদল অবশ্যই নিউজ আইটেম হওয়া উচিৎ নয়। এটি তাত্ত্বিক কথা। বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন। শাকিব খানের ঘটনা আরো ভিন্নতায় ভরপুর। একবার নয়, বারবার নোংরা কাণ্ড ঘটিয়ে চলছেন শাকিব খান নামে বাংলাদেশে সুপার স্টারের আসন গেড়ে বসা এই ব্যক্তিটি। দমেন না তিনি। প্যাডেলে ব্রেক দেন না। আবার জীবন-যৌবনের মোহে কেউ তাকে নাও করে না। তার পাণিপ্রার্থীর অভাব হয় না। রসিকতা করে বলা হয়, কেউ তাকে ফেরান না। বরং দ্রুত কাছে পেতে বা শয্যাসঙ্গী হতে উতলা হয়ে যান।
‘কেউ ফিরে না খালি হাতে শাকিবেরই দরবারে’- এমন রসকথাও আছে তাকে নিয়ে। এর পরিণামে ক’দিন পর পর অপু, বুবলী, রাত্রীরা সন্তান দেন, আর ওই সন্তানদের বাবা খোঁজার দায়িত্ব পড়ে সাংবাদিকদের কাঁধে। তা এড়ানোর সুযোগ নেই সাংবাদিকদের। বিশেষ করে বিনোদন সাংবাদিকদের। মানবিকতার প্রশ্নে অনেকের মতো এ সাংবাদিকদেরও চোখ বার বার স্থির হয় নিষ্পাপ শিশুর দিকে। যারা মোজ-ফূর্তিতে মেতে ওঠা কোনো যুগলের কর্মের প্রতীক। ঘর অস্বীকার বা ঘর ভাঙায় কখনও বাবা,কখনও মায়ের অভাব নিয়ে বড় হতে হয় এই সন্তানদের। শাকিবের কাণ্ড আরো জঘন্য। বিয়ে চাপিয়ে যান। জন্মদানের পর সন্তানও লুকিয়ে রাখেন। চাপে পড়লে একটা সময় সিনেম্যাটিকভাবে পিতৃত্বের স্বীকৃতি দেন। নমুনা কিছুটা ফেরাউন আমলের মতো। ওই সময় পুত্র সন্তান হলে লুকিয়ে রাখা হতো।
ঘটনার অনিবার্যতায় প্রশ্ন জেগেছে, শাকিবের স্বীকৃতির বাইরে কোথাও তার আরো কোনো সন্তান রয়েছে কিনা? অপুর ঘরে জন্ম নেয়া সন্তান জয় বা বুবলীর ঘরের বীর খান ছাড়াও শাকিব খানের প্রথম বা আরেক সন্তান রাহুল খান স্বীকৃতির বাইরে বলে তথ্য প্রচার হয়েছে নতুন করে। ২০০৮-৯ সালের দিকে বিনোদন সংবাদে চিত্রনায়িকা রাত্রির সাথে শাকিব খানের একটি বিয়ের ছবি ছাপা হয়। সেই ঘরে জন্ম নেয় রাহুল খান। তাই প্রশ্ন উঠেছে জয় এবং বীর স্বীকৃতি পেলে রাহুল কেন বঞ্চিত? কেউ কেউ নাকি রাহুলকে অনেকদিন আগে এফডিসির পাশের এক গ্যারেজে মোটর মেকানিকের এসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতে দেখেছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হতে সাংবাদিকরা অনুসন্ধানী রিপোর্ট করতে পারেন। এতে আরেকটি বাচ্চা পিতৃত্বের