শিরোনাম: |
‘রাসূল (সা) ছিলেন পৃথিবীতে সত্য-ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রসেনানী’
সীরাতুন্নবী (সা) উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকায় যুব উন্নয়ন সংসদের র্যালি
|
![]() র্যালিপূর্ব আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১২ রবিউল আউয়াল এই দিনে তার জন্ম ও ওফাত হয়েছিল। আল্লাহর পক্ষ থেকে নবী মুহাম্মদ (সা) তার দায়িত্ব বা রিসালাতের সফলতা সম্পন্ন করেন দীর্ঘ ২৩ বছর জীবনে। ইসলামী সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠার সূচনা যে হিজরত, তা-ও সংঘটিত হয়েছিল এ মাসেই। আবার এই মাসেরই ১২ তারিখে নবী (সা)-এর ওফাত হয়েছিল। ![]() বক্তাগণ বলেন, কালক্রমে দিনটি মিলাদুন্নবী বা সীরাতুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। যার এর অর্থ হলো প্রিয় নবী (সা)-এর দ্বীন ইসলাম কায়েমের পথে সত্য-ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুসলিম উম্মাহর চলার সঙ্কল্প গ্রহণ করা। ‘সিরাতুন নবী (সা) অর্থাৎ নবী (সা)-এর জীবন চরিত বা জীবনী আলোচনা অনুষ্ঠান। বক্তাগণ আরও বলেন, মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর পরিচয় প্রকাশ করা। নবী-রাসূল প্রেরণের লক্ষ্য হলো মানুষকে আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। সমাজ-দেশ-রাষ্ট্রের মাঝে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কেবল ইসলামেই সঠিক ও মূল পন্থা বাতলে দেওয়া হয়েছে। অন্য কোনো পথে মতে মানুষের মুক্তি মিলবে না। তাই মানুষের অধিকার বা শান্তি প্রতিষ্ঠায় সমাজ, ব্যক্তি, সবখানে আল্লাহকে পেতে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর আদর্শ অনুসরণ করতেই হবে। অর্থাৎ রাসূলে (সা) যা করেছেন বা করতে বলেছেন, তা করতে হবে। আর যা করেননি বা করতে বারণ করেছেন, তা বর্জন করতে হবে। এটাই একজন সত্যিকার মুসলমানের কাজ বা তার ঈমানের মূল দাবি। আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের উদ্দেশ্যে কোরআনের নির্দেশনায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ করাই ইসলামের মূল শিক্ষা। কোরআনের সুরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ৩১-এ স্পষ্টভাষায় বলা হয়েছে, ‘বলুন (হে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও, তবে আমার অনুকরণ করো; আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন।’ |