"একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক রক্তসৈনিকের বন্ধন", উক্ত স্লোগানকে ধারণ করে জরুরি প্রয়োজনে রোগীদের জীবন বাঁচাতে রক্ত জোগাড় করে দেওয়ার মনমানসিকতা নিয়ে ২০১১ সালে রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যাত্রা শুরু করে।
উক্ত সংগঠনের সঙ্গে জড়িতরা জানান, দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদের অনেক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে। তবে সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে প্রথমে নিজ এলাকা, অতঃপর পর্যায়ক্রমে সারা দেশকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করার চেষ্টা অব্যহত রাখা সহ বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করা, রক্ত দাতাদের ডেটাবেজ সংরক্ষণ করা এবং মুমূর্ষু অবস্থায়
যে কোন রোগীর প্রয়োজনে বিনামূল্যে রক্ত দিয়ে মানুষের জীবন বাঁচানো তাদের মূল লক্ষ্য।
সব প্রতিবন্ধকতা মাড়িয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে করোনা দুর্যোগের সময়েও করোনা সচেতনতায় লিফলেট, মাস্ক,সাবান বিতরণসহ মুমূর্ষু রোগীর রক্ত ও অক্সিজেন প্রয়োজনে কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে সংগঠনটি।
এরই ধারাবাহিকতায় শেরপুরের নকলায় রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন-এর উপজেলা শাখার আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ করার লক্ষ্যে আংশিক
নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছ।
রবিবার (৯ অক্টোবর) রাতে ফাউন্ডেশনের অস্থায়ী কার্যালয় শেরপুর শহরের নাগপাড়াস্থ আনন্দ ধাম ভবনের অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আব্দুল্লাহ আল আমিন-কে সভাপতি ও রাশেদুল কিবরিয়া-কে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন-এর চেয়ারম্যান রাজিয়া সামাদ ডালিয়া।
কমিটির অন্যরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মকিব হোসেন মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুল মমিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তুহিন।
এর আগে ফাউন্ডেশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনটির চেয়ারম্যান রাজিয়া সামাদ ডালিয়ার সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. আল আমিন রাজু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- নকলা উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাকালীন আহবায়ক মো. মোশারফ হোসাইন, শেরপুর জেলা শাখার কার্যকরী সভাপতি মো. আশরাফুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন ও মো. আলমগীর হোসাইন, প্রচার সম্পাদক মো. শিহাব আহাম্মেদ, নকলা উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-আমিন ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কিবরিয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় গত ৩ই আগষ্ট রক্তসৈনিক নকলার কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।