শিরোনাম: |
গোপীনাথপরের বিদায়ী ইনচার্জের তৎপরতায় এক বছরে ঘটেনি খুন অপহরণের ঘটনা
গোপীনাথপুর প্রতিনিধিঃ
|
![]() তথ্য অনুসন্ধানের জানা যায় যে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরবর্তী বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতা চলাকালীন সময় গত ১২-০২-২০২২খ্রিঃ তারিখ গোপীনাথপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ হিসাবে মোঃ সাব্বির রহমান যোগদেন।তিনি ব্যতিক্রম ধর্মীয় কিছু উদ্দেগ্যের মাধ্যমে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সল্প সংখ্যক অফিসার ফোর্স নিয়ে তদন্ত কেন্দ্র এলাকার নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধ করতে সক্ষম হন। ফলে তার সময় ০৫ ইউনিয়নে ঘটেনি কোন হত্যকান্ড, অপহরণ, ধর্ষন, ইভটিচিং সহ বড় ধরনের দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনা।বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড বন্ধে সফল হন।এলাকার আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব সাথে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে তার নেতৃত্বে পুলিশ কাজ করছে।তার যোগদানের পর মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা ফিরে এসেছিল। তিনি সর্বপ্রথম ঘুষ ও দালাল মুক্ত, সাধারন মানুষের জন্য পুলিশি সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।সেবাপ্রার্থী সাধারন মানুষ যেন কোন হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য ভুক্তভোগী সাধারন মানুষের কথা শুনে দ্রুত সমস্যা সমাধান দিয়ে মানবতার দৃষ্টন্ত স্থাপন করেছিল। তিনি মাদক কার্বারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ, সন্ত্রাসী ও ডাকাত, ভূমিদস্যূদের দমন, মাদক নিয়ন্ত্রণ, চুরি ডাকাতি বন্ধ সহ বিভিন্ন জনকল্যানমূখী কাজের মাধ্যমে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। তার সময় অনেক এলাকার দীর্ঘদিনের ভূমি বিরোধ সমস্যার সমাধান হয়েছে।তার নেতৃত্বে গোপীনাথপুর পুলিশের অব্যাহত অভিযানের মুখে আতঙ্কে চিহ্নিত চোর ডাকাত, খুনী ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীগণ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে জানান অনেকেই। সর্ব্বোচ সংখ্যক ওযারেন্টের আসামী গ্রেফতার হয়। ভুক্তভোগীরা জানান প্রতিটি গ্রামে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে জিডি ও মামলা করতে তদন্ত কেন্দ্রে কোন অর্থ লাগেনি। তার সততা অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন, জুলুমবাজ, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যূ, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন ও আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক উন্নতি হয়েছিল। তাই মানুষের মুখে শোনা যায় তার প্রশংসার কথা। সাধারণ নাগরিকরা বলেন দেশের প্রতিটি থানা-তদন্ত কেন্দ্রের ওসি-আইসি যদি গোপীনাথপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ সাব্বির রহমানের মতো সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে তাহলে মাদক, চোরাচালান, ঘুষ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস মুক্ত এই দেশ হতো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।তিনি কাজ করেছেন দায়িত্ববোধের সাথে, যা মানুষকে ভালোবাসার এক অন্যরকম বহিঃপ্রকাশ।এজন্য তিনি ‘সাদা মনের’ পুলিশ হিসেবে ইতোমধ্যে সবার কাছে পেয়েছে গ্রহণযোগ্যতা।তিনি শুকবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলা হতে গাজীপুর জেলায় জনস্বার্থে বদলী হলে এলাকার জনগণ অশ্রুসিক্ত হৃদয়ে তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেন।
|