শিরোনাম: |
বৈদ্যুতিক তারে পড়েছে জ্বলন্ত ফানুস, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ
|
রোববার (১ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ম্যানেজার (সিভিল অ্যান্ড পি-ওয়ে) মাহফুজুর রহমান। মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বৈদ্যুতিক লাইনে ফানুস পড়েছে, বর্তমানে সেটির ক্লিনিং চলছে। এটি ম্যানুয়ালি করতে হয়, ওরা সবাই চেষ্টা করছে তবে কতক্ষণ লাগবে এটি এখনও বলা যাচ্ছে না। লাইনে ঢুকে হাতে বাঁশ নিয়ে এগুলো নামানো হচ্ছে। এটির এমন কোনও সুযোগ নেই যে ট্রেন চালিয়ে আসার সময় সেটি অটোমেটিক্যালি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ট্রেন সকাল থেকে চলাচল বন্ধ আছে। এখনো আমরা ট্রেন চালাতে পারিনি। সকালে সুইপিং ট্রেন একটু বের হয়েছিল। ওরা এসেই ফানুস দেখে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিয়েছে। সুইপিং ট্রেন সকাল বেলা চালানো হয় এগুলো চেক করার জন্য। এখন পর্যন্ত ১৫ টির মত পোড়া ও আধাপোড়া ফানুস অপসারণ করা হয়েছে বলে জানান ডিএমটিসিএলের রক্ষণাবেক্ষণ কর্মচারী সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, সকালে ফানুসের বিষয়টি দৃশ্যমান হওয়ার পর থেকেই আমরা কাজ করছি। এখন পর্যন্ত ১৫টির মতো ফানুস অপসারণ করেছি। উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত মূল লাইনে নেমে প্রতিটি জায়গায় চেক করা হচ্ছে। অপসারণের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এর আগে ইংরেজি নতুন বছর বরণ করতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে মিট দ্য প্রেসে নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে কোনো আতশবাজি, পটকা কিংবা ফানুস ওড়ানো যাবে না। ঢাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের আয়োজন করার সুযোগ ছিল না। কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছিল মানুষের বাসাবাড়ির ছাদকেও। কিন্তু তাতে থামিয়ে রাখা যায়নি উদযাপনকে। আতশবাজি আর ফানুসে ভরপুর ছিল ঢাকার আকাশ। রাজধানীর পুরান ঢাকাসহ প্রায় অধিকাংশ ভবনের ছাদেই ছিল আতশবাজি আর ফানুস ওড়ানোর আয়োজন। অনেকে আবার ছাদে বারবিকিউ পার্টিসহ পারিবারিক নানা আয়োজন করেছে। রোববার (১ জানুয়ারি) প্রথম প্রহরেই রাজধানীর প্রায় সব এলাকায় আতশবাজি ও ফানুস ওড়াতে দেখা গেছে। |