শিরোনাম: |
ভালো নেই নতুন বছরে শুরুতে সিলেটের শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা
|
![]() বছরের এই সময় শীতের কাপড়ের জমজমাট ব্যবসা থাকলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন এবার আগের সেই অবস্থা নেই। গত কয়েক দিনে শীতের তীব্রতা বেড়েছে অনেক। এই সময় ফুটপাতে শীতের কাপড়ের কাড়াকাড়ি লেগে যায়। অথচ এবার মানুষের সেই আগ্রহ নেই। ক্রেতাদের মধ্যে যাদেও দেখা যায় তারা বেশির ভাগই বাচ্চাদের কাপড়ের জন্য এসে থাকেন। কেউ কেনেন আর সিংহ ভাগই দরদাম করে চলে যান। নগরীর জিন্দাবাজার প্লাজা মার্কেটের কাছে কথা হয় কবির নামে এক ভাসমান কাপড় বিক্রেতার সাথে। তার বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। সিলেটে বাদামা বাগিচা এলাকায় এক বস্তিতে থাকেন। দুপুওে খেয়ে বাসা থেকে বের হন ভ্যান নিয়ে। রাত সাড়ে বারোটা থেকে একটা পর্যন্ত বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে কাপড় বিক্রি করেন। চৌহাট্টা থেকে গার্লস স্কুলের সামনের রাস্তায়ই তিনি বেশি কাপড় বিক্রি করে থাকেন। কবির জানান আগে তিনি বাদাম বিক্রি করতেন। বাদামের ব্যবসা মন্দা হওয়ায় সেই ব্যবসা ছেড়ে কাপড়ের ব্যবসায় নেমেছেন। নতুন বছরে ব্যবসা পাতি কেমন যাচ্ছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমাদের কাছে বছর নতুন পুরাতন বলতে কিছু নেই। এবার একেবারে জমে গিয়েছি। করোনার যাতার পর জিনিসপত্রের দাম বারবার বেড়ে যাওয়ায় নতুন কওে যে যাতা খেয়েছি তাই সামলে উঠতে পারছি না। শীতের সময় গরম কাপড়ের ব্যবসা একটু জমে উঠে কিন্তু এবার এখনও ভাব ভালো দেখছি না। রাস্তাঘাটে অনেক মানুষ কিন্তু ক্রেতা নেই। যাদের হাতে অনেক টাকা তারা বড়ো বড়ো দোকানে কাপড় কিনে, কিন্তু আমাদের কাস্টমারদের অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ। মানুষের টাকা পয়সার অবস্থা ভালো নেই। তারা এখন শুধু বাচ্চাদের জন্য গরম কাপড় কিনতে আসে, তাও অনেক সময় নিয়ে দরদাম করে এক দুইটা কাপড় কিনে কিন্তু বড়োদের কাপড় খুব একটা বিক্রি নেই। বিক্রি না থাকলে আমরাও ভালো থাকি না। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় শ্রমজীবীদের অবস্থাও খুব ভালো নেই। অনেকেই জানান, আগে যেখানে পাঁচ জন দিয়ে কাজ করানো হতো এখন সেখানে তিন জন দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। কারণ পাঁচজনের ব্যয় মালিকরা নিতে চাইছেন না। ফলে কাজের মান কমছে, কমছে শ্রমের দামও। অনেকেই কাজ পেশা বদলে গার্মেন্টর্স বা কলকারখানায় চলে যাচ্ছেন।
|