শিরোনাম: |
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অর্থ ব্যয়ে সরকারি বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণের আহ্বান ইউজিসি’র
|
অডিট অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাকিলা জামান বক্তব্য দেন। ব্যাথার কারণ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়ম রোধে এবং অডিট আপত্তি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আর্থিক বিষয়ে বিদ্যমান বিধি-বিধান যথাযথভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান। সকল প্রকার সংকোচের উর্ধ্বে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সামনে আইনের যথাযথ ব্যাখ্যা তুলে ধরতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। কোন ব্যক্তি আর্থিক বিষয়ে ছাড় দিলে অপরাধের দায়ভার তাকে নিতে হবে বলেও তিনি জানান। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। তদারকির দায়িত্বে থাকায় ইউজিসিকেও এর দায় নিতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল এর অফিস থেকেও অপ্রিয় কথাও শুনতে হচ্ছে। আর্থিক অনিয়ম রোধে ইউজিসি নিরীক্ষা কার্যক্রম আরও জোরদার করছে বলে তিনি জানান। তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুনাম বজায় রাখা ও বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় অডিট সেলকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। তিনি আর্থিক সংকট মোকাবেলায় সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। অধ্যাপক আবু তাহের বৈশ্বিক সংকটের কারণে সর্বক্ষেত্রে কৃচ্ছতা সাধনের জন্য সকলকে অনুরোধ করেন। অনিয়মের পুনরাবৃত্তি রোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট সেলকে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও কাজের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে উপাচার্যদের অনুরোধ করেছেন তিনি। এছাড়া, হিসাবরক্ষণ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং অডিট আপত্তি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে পেশাদার হিসাব বিভাগের লোকবল দিয়ে নিরিক্ষা কাজ পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি। নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোন্নয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মোতাবেক প্রদান, অগ্রাধিকার খাত বিবেচনায় নিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন, বিধি মোতাবেক আনুতোষিক প্রদান এবং অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইউজিসি’র অর্থ ও হিসাব বিভাগের সিনিয়ির সহকারী পরিচালক মো. রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় দেশের ৪৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের প্রধান এবং অডিট সেল/ অডিট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অংশ নেন। |