শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
শিরোনাম: মাত্র ৭১ দিনে পদ্মা ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিম “বিজয় ৭১”       তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি শিল্পের পুঁজিবাজারে প্রবেশের পথ সুগম করতে বেসিস এবং প্রাইম ব্যাংকইনভেস্টমেন্টের চুক্তি স্বাক্ষর       কিস্তিতে মার্সেল ফ্রিজ কিনে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেলেন নোয়াখালীর অটোমেকানিক আলাউদ্দিন       ক্রেনের আঘাতে ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ       নাদিহা আলীর মৃত্যতে বসুন্ধরা পরিবারের শোক       হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহির্গমন লাউঞ্জে যমুনা ব্যাংক পিএলসি এর কর্মশালার আয়োজন       রেপো, লিকুইডিটি সাপোর্ট সুবিধা এবং আইবিএলএফ নিলামের ফলাফল      
গোলাপের ৪০ লাখ ডলারের বাড়ি নিয়ে নিউ ইয়র্কে তোলপাড়
প্রকাশ: রোববার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:৩৬ এএম |

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহরে ১৪ বাড়ি কেনার খবর ঢাকার  একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশের পর নিউ ইয়র্কে সরগরম  হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি কমিউনিটি। তাকসিম বাড়ি কেনার ঘটনা এখন টক অব দ্য নিউ ইয়র্ক। তার এ ঘটনার বেশ না কাটতেই নতুন করে শুরু তোলপাড় শুরু হয়েছে সংসদ সদস্য মো. আবদুস সোবহান মিয়া (গোলাপ) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে একাধিক বাড়ি ক্রয়ের খবর। এ খবর জানিয়েছেন মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।


সংসদ সদস্য মো. আবদুস সোবহান মিয়া (গোলাপ) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে একাধিক বাড়ি ক্রয়ের  দেশের বাইরে এমন সম্পদ তাঁর রয়েছে বলে নির্বাচনী হলফনামায়ও উল্লেখ করেননি। অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ‘অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ বা ওসিসিআরপি ১৩ জানুয়ারি শুক্রবার তাদের ওয়েবসাইটে করা একটি প্রতিবেদনে আব্দুস সোবহান গোলাপের যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি ক্রয় করা নিয়ে সংবাদ করেছে।


প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মো. আবদুস সোবহান মিয়া ২০১৪ সালে প্রথম নিউইয়র্কে অ্যাপার্টমেন্ট কেনা শুরু করেন। ওই বছর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকায় একটি সুউচ্চ ভবনে অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন তিনি। পরের পাঁচ বছরে তিনি নিউ ইয়র্কে একে একে মোট ৯টি প্রপার্টি বা সম্পত্তির (ফ্ল্যাট বা বাড়ি) মালিক হন। এসব সম্পত্তির মূল্য ৪০ লাখ ডলারের বেশি (ডলারের বর্তমান বিনিময় মূল্য অনুযায়ী প্রায় ৪২ কোটি টাকা)।


আব্দুস সোবহান গোলাপ একসময় নিউইয়র্ক প্রবাসী ছিলেন। এখানে আরও দুই দশজন খেতে খাওয়া প্রবাসীর মতো তিনিও নানা অড জব করেছেন। নিউইয়র্কে বাংলাদেশি জনসমাজের কাছে তিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত। প্রতিবছরই তিনি রাষ্ট্রীয় সফরে নিউইয়র্ক আসেন। দলীয় সভা সমিতিতে বক্তৃতা করেন।

মো. আবদুস সোবহান মিয়া ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সস্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তিনি প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের পদ পান। এর আগের কমিটিতে তিনি দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।
সংসদ সদস্য মো. আবদুস সোবহান মিয়াকে নিয়ে ওসিসিআরপির করা প্রতিবেদনের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকার একটি দৈনিক সংবাদপত্রকে জানান, ‘আমি এখন মাদারীপুরে নিজের নির্বাচনী এলাকায় আছি। শনিবার বিষয়টি ভালোভাবে জেনে তারপরে কথা বলব।


ওসিসিআরপির করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে পাঁচটি কনডোমিনিয়াম কিনেছিলেন আবদুস সোবহান। সে সময় ওই সম্পত্তির মূল্য ছিল প্রায় ২৪ লাখ ডলার। এ ছাড়া আশপাশের ভবনগুলোতে ৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার মূল্যের তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছিলেন তিনি। নিউইয়র্কে কেনা এসব সম্পত্তির নথিপত্র বলছে, সম্পত্তিগুলো নগদ অর্থে কেনা হয়েছিল। এগুলোর মালিকানায় রয়েছেন তাঁর স্ত্রী গুলশান আরাও।
ওসিসিআরপির করা প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আবদুস সোবহান নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে আরও একটি সম্পত্তি (বাড়ি) কিনেছিলেন। ওই সম্পত্তির মূল্য ছিল প্রায় ১২ লাখ ডলার। ২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছিলেন। এর সাত মাস আগে বাংলাদেশে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।


ওয়াসার তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি!’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে গত সপ্তাহে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘একটি-দুটি নয়, ১৪ বাড়ি! দেশে নয়, সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহরে কিনেছেন এসব বাড়ি। সব বাড়ির দাম টাকার অঙ্কে হাজার কোটি ছাড়াবে। দেশ থেকে অর্থ পাচার করে তিনি এসব বাড়ির মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনার মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিককে ঢাকা ওয়াসায় নিজের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে কথা বলেন তাকসিম এ খান।

তখন তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর পরিবারের মাত্র একটি বাড়ি রয়েছে। সেখানে ১৪টি বাড়ি থাকার যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তার কোনো সত্যতা নেই। তিনি বলেছিলেন, ‘শুধু একটি বাড়ি রয়েছে, সেটি আমার স্ত্রীর কেনা। এর বাইরে কোনো বাড়ি নেই।






আরও খবর


Chief Advisor:
A K M Mozammel Houqe MP
Minister, Ministry of Liberation War Affairs, Government of the People's Republic Bangladesh.
Editor & Publisher: A H M Tarek Chowdhury
Sub-Editor: S N Yousuf

Head Office: Modern Mansion 9th Floor, 53 Motijheel C/A, Dhaka-1223
News Room: +8802-9573171, 01677-219880, 01859-506614
E-mail :71sang[email protected], [email protected], Web : www.71sangbad.com