শিরোনাম: |
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিখোঁজ প্রার্থীকে কোনো বাহিনী তুলে নেয়নি: আনিছুর
|
ঢাকা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনে উপ-নির্বাচনের নিখোঁজ স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদকে কোনো বাহিনী তুলে নেয়নি। তিনি আত্মগোপনে আছেন বলে মনে হয়। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন দাবি করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছি ডিসি, এসপি ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে। কী ঘটেছে- সেই রিপোর্ট চেয়েছি। তারা বলেছে, ওই ব্যক্তি কোথায় আছেন, তা একবার চিহ্নিত করা গিয়েছিল, পরে আর যায়নি ফোন বন্ধ ছিল বলে। সব এজেন্সি প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আমরা একটি ভিডিও দেখেছি। এতে মনে হয় যে, এরকম পরিকল্পনা আগেই করা ছিল এবং তা-ই ঘটেছে। পুরোটা জানা যাবে যদি খুঁজে পাই। তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে যে, তাকে খুঁজে বের করে এনে গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখতে হবে। আমাদের কাছে তথ্য আছে, সরকারি কোনো বাহিনী এই কাজটি করেনি। ওই প্রার্থী আত্মগোপনে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, তাহলেই তো ধরে নেওয়া যায় এমনই। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই রিপোর্টই এসেছে। আমরাও এরকমই জানি। এখন একজন লোক যদি লুকিয়ে থাকেন ইচ্ছাকৃতভাবে, তাহলে তো তাকে খুঁজে বের করা কঠিন। তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য-উপাত্ত আছে, তাতে ধারণা করা যায়। এ ছাড়া যে রেকর্ড আছে, তাতে তিনি স্ত্রীকে বলছেন যে, কী কী আনতে হবে। সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দিতে হবে এবং ১০ মিনিট পর তিনি বের হয়ে চালু করতে। এর মানে কী? মানে হলো যে, তারা একটা পরিকল্পনা করেছে, এটিই আমরা অনুমান করছি। হয়তো তার অন্য কোনো উদ্দেশ্যে থাকতে পারে। নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, নিখোঁজ হলে থানায় বা রিটার্নিং অফিসারকে কেন জানাননি যে নিখোঁজ? একটা জিডিও তো করতে হয় থানায়। কেন করেননি এমন প্রশ্ন তার স্ত্রীকে করা হলে তিনি বলেন- আমি সময় পাইনি। আমরা নির্দেশনা দিয়েছি তাকে খুঁজে বের করার জন্য। তাদের রিপোর্টে আছে নিখোঁজ। এখন নিখোঁজ বলতে তো আত্মগোপনও হতে পারে। এছাড়া তাদের যে রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে, তাতে তো মনে হয় আত্মগোপনেই আছে। তিনি বলেন, আমাদের কাছে একটি জিনিস পাঠিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার। সেখানে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে সুস্পষ্ট কিছু আসে নাই। এ নিয়ে কেউ যদি মনে করে এটি বিতর্ক, তাহলে কিছু করার নেই। আমরা আমাদের চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাকে শনাক্ত করা মাত্রই মিডিয়ার সামনে নিয়ে আসা হবে। ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ছয় আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করছি সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি। |