বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৬ আশ্বিন ১৪৩০
শিরোনাম: শিশু জুনায়েদের বিমানে চড়ার ‘স্বপ্ন পূরণ’ করলো ওয়ালটন প্লাজা       বাংলাদেশের সঙ্গে চীন, ভারত ও রাশিয়ার সুসম্পর্কে ‘সমস্যা দেখছে না’ যুক্তরাষ্ট্র       সুন্দরগঞ্জে ১ কেজি শুকনা গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার       প্রাইম ব্যাংকের লক্ষ্য আরও বৈচিত্র্যময় এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করা       পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরামর্শ ইউজিসি’র বিদ্যুৎ চাহিদার ২০ শতাংশ পূরণের আশা       আজকের শেয়ারবাজার        বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ব শান্তি দিবস উদযাপন করল জেএমআই গ্রুপ      
ভুয়া সংবাদ প্রকাশের ফল
নিউ ইয়র্কে আজকাল পত্রিকার বিরুদ্ধে হচ্ছে ১০৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা
প্রকাশ: সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩, ৯:৩১ এএম |

বন্ধুর কথায় প্রভাবিত হয়ে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক আজকাল পত্রিকার বিরুদ্ধে ১০৫ কোটি টাকা (১০ মিলিয়ন ডলার) এর মানহানি মামলা হচ্ছে। স্থানীয় সময় দুপুরে নিউ ইয়র্কের একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে আজকালের গত ৩ মার্চের সংখ্যায় 'এসবিএ লোন: ৫ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ: প্রতারণার দায়ে বাংলাদেশী গ্রেফতার' শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে পত্রিকাটির বিরুদ্ধে মামলা করা কথা জানিয়েছেন নিউ ইয়র্ক হিউলেট, লং আইল্যান্ড প্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইয়াসিন। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।   


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইয়াসিন বলেন, গত ৩ মার্চের সংখ্যায় পত্রিকাটির প্রথম পৃষ্ঠায় ‘এসবিএ লোন : ৫ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ: প্রতারণার দায়ে বাংলাদেশী গ্রেফতার’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যে প্রতিবেদনে তার সম্পর্কে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও প্রতিহিংসামূলক। তিনি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানা। 

তিনি বলেন আজকাল-এ প্রকাশিত খবরে ব্যক্তিগতভাবে তার ও তার পরিবারের চরম মানহানি ঘটেছে। কেননা, প্রকাশিত খবর প্রসঙ্গে তিনি কিছুই জানেন না এবং তার কাছে আজকাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন কিছু জানতে চাননি বা তার কোন বক্তব্য উক্ত রিপোর্টে নেই। প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে তিনি নাকি এস কে আনোয়ারের নামের এক বাংলাদেশির কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ৫ লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন এবং তাকে বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন এইসব তথ্য সর্ববৈ মিথ্যা ও বানোয়াট।


ইয়াসিন উল্লেখ করেন এস কে আনোয়ারের সাথে তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিলো এবং এক সময় তার সোস্যাল সিকিউরিটি নম্বর ব্যববহার করতে হয়ছিল। যা তিনি সম্পুর্ণ অবগত। তবে তার কোন ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার কোন প্রশ্নই উঠে না। এছাড়া এসবিএ লোন সম্পর্কে তা বলা হয়েছে, তাও ঠিক নয়। কভিড-১৯ এর সময় দু'জনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৮৪ হাজার ডলার লোন পাওয়া গেলে ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে  এস কে আনোয়ারকে লোনের অর্ধেক অর্থ ৪২ হাজার ডলার ক্যাশ প্রদান করা হয়। আর ইয়াসিন কখনো তার দোকানে কাজ করেননি বরং স্টোরের মালিক হিসেবে তিনি দোকানে পরিচালনা করতেন। পরবর্তীতে তিনি দোকানটি জোর করে বন্ধ করে দেন যার ভিডিও তার কাছে সংরক্ষিত আছে। ইয়াসিন মনে করেন তার সরলতার সুযোগ নিয়ে এস কে আনোয়ার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তার সাথেই প্রতারণা করেছেন।

 এছাড়াও ইয়াসিন গ্রেফতার হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হয় তাও সঠিক নয়। মূলত: এস কে আনোয়া্রের একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে গোয়েন্দা দপ্তরে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে তার সাথে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তাকে ডিষ্ট্রিক্ট এটর্নী অফিসে পাঠান। পরে সেখান থেকে তাকে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়।   মূলত: ইয়াসিনের বিরুদ্ধে কোন মামলাই হয়নি নেই এবং তাকে কোন আদালতেও হাজির হতে হয়নি। ডিষ্ট্রিক্ট এটর্নী উক্ত অভিযোগটি খারিজ করে দেন।


ইয়াসিন উল্লেখ করে বলেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী মানুষ। সততার সাথে ব্যবসা করছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আজকাল-এ প্রকাশ করেছে তাতে তার এবং তার পরিবারের চরমভাবে মানহানি করা হয়েছে এতে তিনি চরমভাবে ব্যথিত। তিনি নিউ ইয়র্কের সাংবাদিকদের মাধ্যমে আসল সত্যটি প্রকাশ করে দেশ ও প্রবাসের সকলকে জানাতে চায়।

তবে মজার বিষয় হলো ইয়াসিনের উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বিনা আমন্ত্রণে আজকাল-এর একাধিক সাংবাদিক এসে হাজির হন। শেষ পর্যায়ে সাংবাদিক নন, ইয়াসিনের সাবেক ব্যবসায়িক পার্টনার এস কে আনোয়ার আজকাল সম্পাদকের বন্ধুর পরিচয় দিয়ে দেশীয় স্টাইলে মাস্তানি করতে শুরু করেন। এ নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকরা আপত্তি করলে পরে তিনি স্থান ত্যাগ করেন। তার (এস কে আনোয়ার) বনোয়াট অভিযোগের কারনেই আজকাল উক্ত ভুয়া সংবাদটি প্রকাশ করেন বলে অনেকেই ধারনা করছেন।        


সংবাদ সম্মেলনে শেষে আলাপকালে ইয়াসিন এ প্রতিবেদককে বলেন সাপ্তাহিক আজকালের বিরুদ্ধে তার মানহানির মামলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে তা আদালতে দাখিল করা হবে। মানহানির মামলায় দাবিকৃত অর্থের পরিমানের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা প্রকাশ না করাই ভালো তবে এর পরিমান ১০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৫ কোটি টাকা) বা তার বেশিও হতে পারে।  






আরও খবর


Chief Advisor:
A K M Mozammel Houqe MP
Minister, Ministry of Liberation War Affairs, Government of the People's Republic Bangladesh.
Editor & Publisher: A H M Tarek Chowdhury
Sub-Editor: S N Yousuf

Head Office: Modern Mansion 9th Floor, 53 Motijheel C/A, Dhaka-1223
News Room: +8802-9573171, 01677-219880, 01859-506614
E-mail :71sang[email protected], [email protected], Web : www.71sangbad.com