শিরোনাম: |
নীলফামারীতে ভূট্টার বাম্পার ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছারিয়ে ২৬ হাজার ৬৫৫ হেক্টর
সাইফুল ইসলাম মানিক নীলফামারী।
|
![]() সরেজমিনে জেলার সব উপজেলায় ঘুরে দেখা যায়, এবার ভূট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে, কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় এবার ফলন ভালো হয়েছে, তবে দাম ভালো পেলে তাদের ভাগ্যবদল হয়ে যাবে। সরেজমিনে ডোমার উপজেলার ভূট্টা চাষী সোহেল রানার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমি এবার ৫ বিঘা জমিতে ভূট্টা চাষ করেছি,আমার ভূট্টার ফলন বাম্পার হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় গতবছরের চেয়ে এবার ভূট্টায় বেশী লাভবান হবো। আর কিছুদিন পরেই ঘড়ে ভূট্টা উঠবে। ৫ বিঘা জমিতে যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে আশা করছি প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ হবে। সদরের লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কৃষক রুবেল ইসলাম বলেন, গত বছরেরর চেয়ে এবার ভূট্টার চাষ দ্বিগুন করেছি, গত বছর চাষ করেছিলাম ৫ বিঘা এবার করেছি ১০ বিঘা। ভূট্টা চাষে পরিশ্রম কম, খরচও কম, কিন্তু লাভ বেশী। তাই এবার অন্যান্য বছরের চেয়ে ভূট্টার চাষ বেশী হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভূট্টার বাম্পার ফলন দেখা যায়। আমরা আশা করছি এবার ভূট্টায় দ্বিগুন লাভ হবে। দ্বিগুন লাভ হলে অভাব দুর হবে,পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবো। এ বিষয়ে নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো: আসাদুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,এবার নীলফামারীতে অন্যান্য বছরের তুলনায় ভূট্টা চাষ বেশী হয়েছে। ভূট্টায় লাভ বেশী,খরচ কম এ জন্য কৃষকেরা ঝুঁকছে বেশী ভূট্টা চাষে। ভূট্টার কিছু জাত রয়েছে তারমধ্যে পালোয়ান,পেসিফিক,এনএইচ ৭৭২০ এসব জাতের ফলন ভালো হয়। এক বিঘা জমিতে প্রায় ৫০ মণ ভূট্টা হয়ে থাকে। আমরা কৃষকদের প্রনোদনা দিয়েছি সার ও বীজ। পাশাপাশি কৃষকদের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকি। তবে আশা করা যাচ্ছে এবার নীলফামারীর কৃষকেরা ভূট্টা চাষে অনেক লাভবান হবেন। |