শিরোনাম: |
ইউনাইটেড নেশনস গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ কর্তৃক প্রথম ইন্টেগ্রিটি ডে ২০২৩ উদযাপিত: সম্মিলিত কর্মের মাধ্যমে ভাল নাগরিকত্ব এবং সততা সক্রিয় করা।
|
জনাব ওয়ারিসুল আবিদ, চীফ পিপল অ্যান্ড সাস্টেইন্যাবিলিটি অফিসার, এসকিউ গ্রুপ, মিস আফরিন হুদা, চীফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার, আইডিএলসি ফিন্যান্স এবং জনাব সায়িদ আরিফুল, প্রজেক্ট লিড, মেরিটাইম এন্টি করাপশন নেটওয়ার্ক এবং প্রাক্তন মহাপরিচালক, শিপিং বিভাগ। অধিবেশনটি পরিচালনা করেন ইনোভিশন কনসালটিং-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রুবাইয়াত সারওয়ার। বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির লিডারদের এই আলোচনায় বাস্তবতা, চ্যালেঞ্জসমূহ এবং সাপ্লাই চেইন-এর পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে সততা প্রচারের সর্বোত্তম প্র্যাকটিসগুলোর বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। প্যানেলিস্টরা সাস্টেইন্যাবল চেঞ্জ-এর জন্য সুসংজ্ঞায়িত মূল্যবোধ এবং তাদের সংগঠনের সংস্কৃতিতে এটিকে স্থাপন করার গুরুত্বও তুলে ধরেন। সেকেন্ড প্যানেল আলোচনার জন্য একাডেমিক ল্যান্ডস্কেপ থেকে লিডারদের একত্রিত করা হয় যারা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে পরবর্তী প্রজন্মের নেতাদের জন্য ভাল নাগরিকত্ব এবং সততা অর্জনে একাডেমিয়ার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ইমরান রহমান, প্রফেসর ড. এম. লুৎফর রহমান, ভাইস চ্যান্সেলর, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) এবং জনাব মোঃ রাশেদুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক, ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ সেন্টার (আইসিই), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্যানেলিস্টরা তাদের প্রতিষ্ঠানগুলি যে ভূমিকা পালন করছে তা শেয়ার করার পাশাপাশি একাডেমিয়া বেসরকারি খাত ও সিভিল সোসাইটির সাথে যুক্ত হয়ে কিভাবে যুবকদের মাঝে ভাল নাগরিকত্ব এবং সততা নিহিত করতে পারবে। সেশনটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি) এর নির্বাহী পরিচালক তাহসিনাহ আহমেদ। এই দুই প্যানেল আলোচনার পর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় যেখানে তাদের বিতর্কের বিষয় ছিল “দায়বদ্ধতা সরকারি খাত দিয়ে শুরু হওয়া উচিত, বেসরকারি খাত নয়”। প্রতিযোগিতামূলক এই সেশনে বিষয়ের বিপক্ষে থাকা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির দল বিজয়ী হিসাবে আবির্ভূত হয়। নিজের সমাপনী বক্তব্যে জাগো ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব করভি রকশন্দ বলেন, সততা বজায় রাখা এবং প্রচার করার ক্ষেত্রে একটি সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি স্থাপনের প্রয়োজন রয়েছে। যদিও এটি কিছুটা সময় নিতে পারে, একটি সম্মিলিত পদ্ধতি সাস্টেইন্যাবল ইম্পেক্ট-এর দিকে পরিচালিত করবে। একটি পৃথক সাক্ষাৎকারে, ইউনাইটেড নেশনস গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার, জনাব মাবরুর এম. চৌধুরী ইন্টেগ্রিটি ডে উদযাপনের পিছনে যুক্তি ব্যাখ্যা করেন এবং এই বিষয়ে মন্তব্য করেন, “সাস্টেইন্যাবল চেঞ্জ সক্রিয় রাখতে সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বুঝতে হবে এবং একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মে একত্রিত হতে হবে। আমরা, ইউএন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট বাংলাদেশে, সেই অতি প্রয়োজনীয় প্ল্যাটফর্ম প্রদান করি” এবং জাতিসংঘের গ্লোবাল কমপ্যাক্টের ১০ম নীতির সাথে এর সংযোগের উপর জোর দিই যা হল “সকল প্রকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবসার কাজ করা উচিত”। এছাড়াও, স্টেকহোল্ডার এনগেজমেন্ট কো-অর্ডিনেটর, মিসেস জুলিয়ানা আও কুইস্ট লসন বিস্তারিতভাবে বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নাগরিকদের অংশগ্রহণ এবং সম্পৃক্ততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউনাইটেড নেশনস গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের ইনিশিয়েটিভ এন্টি করাপশান কালেক্টিভ অ্যাকশন (এসিসিএ) দুর্নীতি বিরোধী প্রচেষ্টায় নাগরিকদের অংশগ্রহণ ও সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে চায় এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাকে এগিয়ে নিতে নাগরিক-নেতৃত্বাধীন উদ্যোগগুলিকেও একইসাথে প্রচার করে।
|