শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
শিরোনাম: ওরিয়ন ইনফিউশন সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে সর্বোচ্চ লেনদেন        দখলদার ইসরাইয়েলি হামলায় গাজায় ফের নিহত ৬৬       দেশ গড়ার দ্বিতীয় সুযোগ যেন নষ্ট না হয় : আইন উপদেষ্টা       বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল       বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিএনপির শ্রদ্ধা       বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা       মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করলেন আমিরে জামায়াত      
সিলেটে চাহিদা অনুযায়ী বৃষ্টি না হওয়াতে কৃষি ও মৎস খাতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি
প্রকাশ: বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩, ১০:০০ এএম |

আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেটে চাহিদা অনুযায়ী বৃষ্টি না হওয়াতে কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে অতিরিক্ত গরমে কৃষি জমি ও মৎস খামারে পানি কমতে শুরু করে। যার ফলে মৎস খামারে মাচ মরতে থাকে। সিলেট আবহাওয়া অফিস বলছে, মৌসুমি বায়ু, সাগর থেকে পুঞ্জীভূত মেঘ  ঢোকার কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। এছাড়া বর্ষাকাল চলে আসায় বৃষ্টির পরিমান কিছুটা বেড়েছে। জুন মাস জুড়েই থেমে থেমে বৃটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


জানা যায় মে মাসে সিলেটের জন্য গড়  বৃষ্টিপাত হচ্ছে ৫৬৯.৬ মিলিমিটার। তবে এবছর রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩০.৩ মিলিমিটার। মানে এবছর মে মাসে স্বাভিকের তুলনায় ২৩৯.৩ মিলিমিটার বৃষ্টি কম হয়েছে। যার ফলে মে মাসের পুরোটা সময় তাপদাহ অনুভূত হয়েছে। গত বছর ৮৪৫ মিলিমিটারের মত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। আর ২০২১ সালে মে মাসে ৩৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
বৈশ্বিক কারণে গুটা বিশ্বব্যাটি বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের তার মধ্যে একটি। গত কয়েক দিনের দাবদাহের পর এক পশলা বৃষ্টির দেখা মিললেও যা স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের তুলনায় কম। গত রবিবার (১১ জুন) পর্যন্ত চলতি মাসের ১১ দিনে সিলেটে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে মাত্র ১১১ মিলিমিটার।চাহিদার তুলনায় কম বৃষ্টি হওয়ার কারণে মৎস্য ও কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।


সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপপরিচালক (পিপি) মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান জানান, কম বৃষ্টি হওয়ার কারণে আউশধানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে খড়া দেখা দিয়েছে যার ফলে বীজ লাগানো যায় নি। আউশধান পুরোটা বৃষ্টিনির্ভর ফসল হওয়ায় চাষাবাদ কম হয়েছে। এবার ৭৭ হাজার ৯০০  হেক্টরে জমিতে আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত চাষাবাদ হয়েছে ২১ হাজার ৫৫১ হেক্টর জমিতে। আমরা চেষ্টা করবো এ ক্ষতি আমন ধান দিয়ে পুষিয়ে নেয়ার।

বিভাগীয় মৎস্য অফিস উপ-পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, অনাবৃষ্টি সিলেটের মৎস্য খাতে প্রভাব  ফেলবে। ছোট মাছগুলো এসময়ে প্রজনন করে থাকে। বৃষ্টি কম হওয়ায় মাছের প্রজননের সময় পিছিয়ে যাবে। এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যে মাছের প্রজননের সময়। এ সময়ে বিভিন্ন ধাপে মাছ ডিম ছাড়ে। 






আরও খবর


সম্পাদক : এ এইচ এম তারেক চৌধুরী, সহ-সম্পাদক: এম এ ওয়াহেদ- ০১৮৫৯-৫০৬৬১৪
প্রধান কার্যালয় : নাহার ম্যানশন ৫ম তলা, ১৫০ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা -১০০০।
নিউজ রুম: ০২৪৭১১০৪৫৪, ০১৬৭৭২১৯৮৮০।
e-mail: [email protected], web: 71sangbad.com