শিরোনাম: |
শেরপুরে কিশোরী ধর্ষণের পর পর্ণোগ্রাফি তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার-১
|
![]() রোববার (৬ আগস্ট) রাতে মামলা দায়ের ও ১জনকে গ্রেফতারের পর সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তরা হলো- ধর্ষণে সহায়তাকারী ময়দান আলী (৬০), ধর্ষণে অভিযুক্ত মোনায়েম (২১) ও পর্ণোগ্রাফি ভিডিও ধারণকারী অন্তর (২০)। ভুক্তভোগী কিশোরী ও পুলিশ জানায়, উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও ক্ষুদে ফুটবলার ওই কিশোরী গত ৯ জুলাই বিদ্যালয় ছুটির পর বিকেলে বাড়ি ফিরছিল। এসময় স্থানীয় ময়দান আলী তাকে ডেকে নিজ ঘরে নিয়ে যায়। পরে একই এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে মোনায়েম (২১) ওই কিশোরীকে ময়দান আলীর ঘরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে মোনায়েম স্থানীয় ডাউনলোড ব্যবসায়ী অন্তরকে (২০) দিয়ে ওই কিশোরীর গোপনাঙ্গসহ শরীরের স্পর্শকারত অঙ্গের পর্ণো ভিডিও ধারণ করায়। এরপর ওই পর্ণো ভিডিও অন্তর তার কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়। পরে কিশোরীর স্বজনরা বিষয়টি জানতে পেরে আইনী ব্যবস্থা নিতে চাইলে ময়দান আলী, মোনায়েমের পিতা চাঁন মিয়া ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নজরুল ইসলামসহ প্রভাবশালী একটি মহল বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করে এবং ভুক্তভোগীর পরিবারকে হুমকী ও হয়রানীর মুখে রাখে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী সহকারী পুলিশ সুপার নালিতাবাড়ী সার্কেলের শরণাপন্ন হলে তার সহায়তায় রোববার রাতে থানায় গিয়ে কিশোরীর নানী আয়শা বেগম বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ময়দান আলীকে গ্রেফতার করে। এর আগেই অন্যরা পালিয়ে যায়। সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরীকে রেখে ছোটবেলা বাবা-মা তালাক নিয়ে উভয়েই আলাদা বিয়ে করে সংসারী হয়ে যায়। সেই থেকে ওই কিশোরী নানী চা বিক্রেতা আয়শার কাছে থাকতো। এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, কিশোরীকে ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি তৈরির ঘটনায় ভুক্তভোগীর নানী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যেই ১জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
|