শিরোনাম: |
নওরীনের মৃত্যুর বিচার দাবিতে ইবি ডিবেটিং সোসাইটি'র মানববন্ধন
ইবি প্রতিনিধি:
|
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী নওরীন নুসরাত স্নিগ্ধা’র মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান ফটক সংলগ্ন মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিবের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন শাপলা ফোরামের সভাপতি ও ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান ও শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান। এছাড়া ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সহকারী মডারেটর ও ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন জাহিদ, ডিবেটিং সোসাইটি সহকারী মডারেটর আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতার এবং ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম শোয়েব উপস্থিত ছিলেন। এসময় সংগঠনের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘নুসরাত ছিল একজন প্রতিবাদী মেয়ে, আত্মহত্যার একটি প্রতিবাদী চরিত্র। সে কিভাবে আত্মহত্যা করে? আমরা এর আগে শুনেছি তার পরিবার বিচারের জন্য অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে, কিন্তু বিচারের কার্যক্রম শুরু করতে পারছিলো না। তবে গতকাল দেখলাম বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছে এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উপস্থাপনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। আমরা চাই ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত চিত্রটি ফুটে উঠুক।’ ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, ‘নওরীনকে দেখে সবসময় একটা পজিটিভ ধারণা আসতো। নওরীন ছিল বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি সবখানেই তার বহুমুখী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে। নওরীন আত্নহত্যা বিরোধী বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও পত্রিকায় লেখালেখি করত। তিনি টিভি বিতার্কিক ছিলেন। সে আত্নহত্যা করবে এটা বিশ্বাসই হয় না। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে? আমরা তার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’ উল্লেখ্য, গত ০৮ আগস্ট বিকেলে সাভারের আশুলিয়ায় পলাশবাড়ী নামাবাজারের একটি ভাড়া বাসার ছয়তলা থেকে পড়ে নওরীনের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। নওরীন তার স্বামী ইব্রাহীম খলিলের সঙ্গে সেখানে থাকতেন। মাত্র ১৮ দিন আগে তাদের বিয়ে হয়। তবে এ মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়েছে বলে অভিযোগ নওরীনের বাবার। তিনি অভিযোগ করেন তার মেয়েকে হত্যা বা আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে।
|