শিরোনাম: |
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের টিম লিডারের
সাইবার অপরাধের সুবিচার চাইলেন সিলেটের এক সাংবাদিক
সিলেট প্রতিনিধি :
|
সমাজসেবা অধিদফতর দ্বারা পরিচালিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প সিলেট সিটি কর্পোরশেনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরিচালিত ৫ ও ১২নং ওয়ার্ডের টিম লিডার লাকী আহমেদের এক পর এক সাইবার অপরাধ সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবুল কাশেম রুমনকে নিয়ে ব্যক্তিত্ব চারিত্র, পত্রিকার বিরুদ্ধে নানা ধরণের অপ্রচার ও পোষ্ট দিয়ে মান সম্মান ক্ষুন্ন করায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দিতে সুবিচার চেয়ে লিখিত ভাবে অভিয়োগ করেছেন ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং সমাজসেবা অধিদফতর আগারগাঁও ঢাকা মহা পরিচালক বরাবরে সাংবাদিক আবুল কাশেম রুমন। তাছাড়া সিলেট সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সিসিকের প্রকল্প কো-অর্ডিনেটর সহ মোট ১৮ টি সংস্থাকে সদয় অবগতির জন্য অনুলিপি প্রেরণ করেছেন। তিনির তার অভিয়োগে উল্লেখ্য করেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশন দ্বারা পরিচালিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন (ইউএনডিপি) প্রকল্পের কমিউনিটি টিম লিডার লাকী আহমেদ,পিতা-মৃত হরমুজ আলী, সাং-বাসা নং ১০/আই,মুন্সিপাড়া,থানা- কোতোয়ালী,সিলেট। তার জাতীয় পরিচয় পত্রে নাম উল্লেখ করেছেন, লাকী আক্তার, বিবাহের তালাক নোটিশে নাম উল্লেখ করেন লাকী বেগম, রাজতৈনিক পরিচয়ে একটি ভিজিটিং কার্ড ও সাংবাদিকতার আইডি কার্ডে লাকী আহমেদ লিখে বহুরূপী নাম ব্যবহার করে। তিনি উক্ত প্রকল্পের যে একজন টিম লিডার হিসেবে যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন, সে সব তথ্য গোপন করে সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। যাহা তথ্য গোপন করে তিনি সাংবাদিকতার নীতি বিরোধী কার্যকলাপ করেছেন। সাংবাদিকতা একটি মহৎ সম্মান জনক, দেশ জাতির কল্যাণে জনসেবামূলক পেশা। তাছাড়া জাতির সম্মুখে সত্য ও মিথ্যা, অন্যায়-অত্যাচার,দুর্নীতি, ন্যায় বিচারের ও বলিষ্ট একটি ভূমিকা তোলার মাধ্যম হচ্ছে গণমাধ্যম। সে জায়গায় লাকী আহমেদ তথ্য গোপন করে গণমাধ্যম বিরোধী নানা কার্যকলাপ করে মহৎ, সম্মান জনক পেশাকে অসম্মান করেছেন। তিনি সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার নিয়মনীতি বহির্ভূত ও সাংবাদিকতার নীতি পরিপন্থী বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার পদ থেকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কার করা হয়। উল্লেখ্য যে,লাকী আহমেদ দীর্ঘ দিন ধরে হলুদ সাংবাদিকতা সহ বিভিন্ন সময় পুলিশের সোর্স, কখনও র্যাবের সোর্স বা সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করে নীতি বিরোধী কাজে লিপ্ত থাকায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে (২৬ আগষ্ট ২৩ইং) তারিখ হতে পত্রিকা থেকে বহিষ্কার করা হয়। উল্লেখ্য যে, লাকী আহমেদ’র কার্ড নং (২০) ইস্যু তারিখ-১লা এপ্রিল ২০২৩ইং, কার্ডের মেয়াদ উর্ত্তীনের তারিখ ৩১ মে ২০২৪ইং বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিতের পর থেকে ওই আইডি কার্ডটি সম্পূর্ণ বাতিল বলে গণ্য করা হয়। এছাড়া ২৫ মে ২০২৩ ইং সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক ভাবে সাপ্তাহিক বৈচ্যিত্রময় সিলেটের ফেসবুক,ইউটিউব ও ওয়েব সাইট (অনলাইন ভার্সন) সিলেটস্থ রংমহল টাওয়ার পত্রিকার কার্যালয় থেকে সরাসরি লাইভ সম্প্রচারের মাধ্যমে উদ্বোধন শেষে লাকী আহমেদ কে একটি বুম প্রদান করা হয়। কিন্তু পত্রিকার নিয়মনীতি পরিপন্থী বহির্ভূত হয়ে তিনি বিভিন্ন ভাবে অবৈধ ফায়দা হাসিলের চেষ্ঠা করলে তাকে বার-বার শতর্ক করে দেওয়ার পর তিনি কর্ণপাত করেন নি। অফিস কর্তৃপক্ষ পত্রিকার স্টিকার সংযুক্ত বুমটি অফিসে ফেরত দিতে বললেও তিনি তা না করে বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ নানা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। লাকী আহমেদ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন (ইউএনডিপি) এনজিওর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ধাপট দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন । উক্ত বিষয়টি নিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে পরিচালিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন (ইউএনডিপি) দায়িত্বরত এক কর্মকর্তাকে মৌখিক ভাবে অবগত করেন সাংবাদিক রুমন। পরবর্তীতে তিনি লাকী আহমেদকে ডেকে বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার বুম ও আইডি কার্ড ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সে আদেশ অমান্য করে পত্রিকার আইডি কার্ড ও বুম প্রদান না করে তাকে নাকি আমি প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেছি বলে এসএমপির কতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে,যাহার নং-২৭৪০ (তারিখ- ২৪/০৮/২০২৩ইং) যাহা মিথ্যা ও বানোয়াট ভাবে সাধারণ ডায়েরি করে আমাকে অযথা হয়রাণী করার জন্য। লাকী আহমেদ আমার পত্রিকার আইডি কার্ড ও বুম নিয়ে জোরপূর্বক তার কাছে রেখে ফেরত না দিয়ে সাংবাদিক রুমনের বিরুদ্ধে তার নামিয় জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক আইডিতে ২৭ আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে তার ব্যক্তিগত চরিত্র ও পত্রিকার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করেন। যাহা মিথ্যা ও বানোয়াট এবং মানহানিকর। লাকী আহমেদের উক্ত বক্তব্য ও পোস্ট ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে যেসব কুরুচিপূর্ণ মানহানিকর কমেন্ট করে হেয়প্রতিপন্ন মন্তব্যটি সামাজিক মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মানুষের কাছে শেয়ার করেন। তার উক্ত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যে বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার একজন সম্পাদক হিসেবে ব্যক্তিগত, পাবিবারিক ও সামাজিক ভাবে অপূরণীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে অভিয়োগ করেন।৩০ আগষ্ট ২০২৩ইং ন্যায় বিচার চেয়ে সাংবাদিক আবুল কাশেম রুমন বাদী হয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- (১৬৬/২৩ইং)। মামলাটি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট বিশেষ একটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রদান করা হয়। তারপরও তিনি তার বিরুদ্ধে পরিচিত মহল ও আত্মীয় স্বজন এর নিকট তার আইডির লিংকটি শেয়ার করে যাচ্ছেন এবং তাকে নানা মিথ্যা মামলা ও হামলা সহ নানামুখী হুমকি প্রদান করে আসছেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নজরে নিয়ে সঠিক তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিশেষ অনুরোধ জানান তিনি।
|