শিরোনাম: |
লক্ষ্মীপুরে দেবরের লালসার শিকার হয়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিধবা
রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
|
![]() স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত হারুনের বড় ভাই সিরাজ মারা যাওয়ার পর থেকে ভুক্তভোগী তাজনাহার বেগম এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বসতঘরে একাই বসবাস করে আসছেন। বসতঘরটি বাগানের ভিতর নির্জন স্থানে হওয়ার সুযোগে বিভিন্ন সময়ে হারুন ভুক্তভোগীর ঘরে আসা-যাওয়া করতো। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে দিনের পর দিন দেবর হারুনের (৪৬) লালসার শিকার হয়ে তাজনাহার বেগম (৩০) নামে এক বিধবা নারী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৭নং দরবেশপুর ইউপির ০৯ নং ওয়ার্ড, আলিপুর কারী সাহেবের বাড়ীতে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ড মেম্বার বিষয়টি সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগীর পরিবার। এদিকে অভিযোগ পাওয়া গেছে, স্থানীয় একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাঁপা দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভুক্তভোগী বিধবা তাজনাহার বেগম বলেন, তার স্বামী প্রায় ৬ বছর আগে মারা গেছেন। তার পর থেকে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে একাই বসবাস করে আসছেন। এ সুযোগে রাতে তার ঘরে আসা যাওয়া করতো দেবর হারুন এবং তাকে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ওই সময় তিনি প্রথম প্রথম দরজা না খুললে ঘরের দরজা জানালা পেটাতো হারুন। এই বিষয়টি তিনি বাড়ির লোকজনকে জানালে কেউ এই বিষয়ে কর্ণপাত করেননি । পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে মুখে ওড়না পেঁছিয়ে তার সাথে জোরপূর্বক শারীরীক সম্পর্ক করে হারুন। ফলে তিনি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। ভুক্তভোগী তাজনাহার তার সন্তানের বাবার পরিচয় চান বলে সাংবাদিকদের জানান। ভুক্তভোগী তাজনাহারের মা ছকিনা বেগম(৬০) জানান, মেয়ের বাড়িতে আসলে প্রায় সময় হারুনকে দেখতে পেতাম। হারুন আমার মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে এ অঘটন ঘটিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই এবং আমার মেয়ের সন্তানের বাবার পরিচয় চাই। ভুক্তভোগী তাজনাহারের বড় ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র মোঃ আকরাম হোসাইন (১৭) জানান, আমার চাচা হারুন প্রায়ই রাতে আমার মাকে ঘর থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে যেতো। আমি আলিপুর দারুল উলুম হাকিমিয়া মাদ্রাসায় ৫ম শ্রেনীতে পড়ি। এ বিষয়টি জানা-জানি হওয়ার পর আমাকে অনেকে অনেক কটু কথা বলে। মাদ্রসায় যেতে আমার লজ্জা লাগে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত হারুন তার ভাবী তাজনাহার বেগম সাত মাসের অন্তঃসত্তা স্বীকার করে বলেন, এই ঘটনার সাথে তিনি জড়িত নন। অন্য কেউ এই ঘটনা ঘটিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। স্থানীয় একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ ঘটনার সাথে তার জড়িত থাকার বিষয়টি সঠিক প্রমানিত হলে তিনি ভুক্তভোগী তাজনাহারকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহন করে নিবেন বলেও জানান। এদিকে স্থানীয় চেয়্যারম্যান এবং মেম্বার শুক্রবার এ বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার কথাও জানান অভিযুক্ত হারুন। এছাড়াও এ বিষয়ে তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার শাহাদাত হোসেনকে টাকা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহাদাত হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি জানার পর বিষয়টি আমি চেয়ারম্যানকে অবগত করি। পরবর্তীতে আমাকে কেউই আর কিছুই জানায়নি। তবে টাকা লেনদেনের বিষটি সঠিক নয় বলে জানান তিনি। ৭নং দরবেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, তাদেরকে ডাকানোর পর তারা আমাকে ডকুমেন্টস দেখিয়েছে ৬-৭ মাস আগেই তারা গোপনে বিয়ে করেছে। তবে কোথায় বিয়ে করেছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান জানান, এ বিষয়ে সাবেক মেম্বার ইলিয়াস বলতে পারবেন।
|