শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
শিরোনাম: মাত্র ৭১ দিনে পদ্মা ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিম “বিজয় ৭১”       তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি শিল্পের পুঁজিবাজারে প্রবেশের পথ সুগম করতে বেসিস এবং প্রাইম ব্যাংকইনভেস্টমেন্টের চুক্তি স্বাক্ষর       কিস্তিতে মার্সেল ফ্রিজ কিনে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেলেন নোয়াখালীর অটোমেকানিক আলাউদ্দিন       ক্রেনের আঘাতে ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ       নাদিহা আলীর মৃত্যতে বসুন্ধরা পরিবারের শোক       হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহির্গমন লাউঞ্জে যমুনা ব্যাংক পিএলসি এর কর্মশালার আয়োজন       রেপো, লিকুইডিটি সাপোর্ট সুবিধা এবং আইবিএলএফ নিলামের ফলাফল      
আজ ৭৮তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
সপ্তদশবারের মতো জাতিসংঘে ভাষণ দিয়ে শেখ হাসিনার রেকর্ড
প্রকাশ: শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১১:০৯ এএম |

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সদর দফতরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে সাধারণ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অন্যান্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয় তুলে ধরবেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলা সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।  


শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ভাষণের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সপ্তদশবারের মতো সেখানে বাংলায় ভাষণ দেবেন। এ বছরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মূল প্রতিপাদ্য- ‘আস্থা পুনর্গঠন ও বিশ্বব্যাপী সংহতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা: সকলের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থায়িত্বের লক্ষ্যে ২০৩০ এজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে ত্বরান্বিতকরণ পদক্ষেপ।’


তার এবারের অংশগ্রহণ নিয়ে তিনি বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে মোট ১৭ বার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগদান করছেন। করোনা মহামারির কারণে সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে যোগদান করতে পারেননি। জানা গেছে জাতিসংঘে যোগদান শেষে কয়েকদিন তিনি ভার্জিনিয়ায় তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিবারের সাথে কাটাবেন।


প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্বগ্রহণের পর ৪ বার তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগদান করছেন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারী তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর জাতিসংঘে সেটি তার পঞ্চম অংশগ্রহণ হলেও এর আগের মেয়াদে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালে পর পর ৫ বারসহ টানা ১০ বার সংস্থাটির সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেন শেখ হাসিনা । এছাড়া ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে প্রথম মেয়াদের ৩ বার সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন শেখ হাসিনা। 


উন্নয়নশীল এবং উন্নত দেশের আর কোন সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান এতবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগদান করেননি। সেদিক থেকে জাতিসংঘে যোগদানে বিশ্বরেকর্ড করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য দেশ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয় ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। এর এক সপ্তাহ পর ২৫ সেপ্টেম্বর, সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৩ সদস্য-রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতারা ৭৬ তম অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন।



 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে।
দীর্ঘ এ চার দশকের বেশি সময়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে ডঃ ফখরুদ্দিন আহমেদ ছাড়াও প্রর্বতন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি শাসনামলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমান, বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সাধারণ পরিষদে। 


বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রপতি, সরকার প্রধান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি সবাই মিলে অতীতের৪১টি অধিবেশনের ৩১টিতে যোগদান করেন। পক্ষান্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাই ১৪বার প্রতিনিধিত্ব করছেন সাধারণ পরিষদে। প্রতিবছর নিয়মিত অধিবেশন ছাড়াও কয়েক বছর অন্তর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। তখন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ অংশ নিয়ে থাকেন। এছাড়া ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদের কোন দেশেরই রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের প্রতিবছর সাধারণ পরিষদে যোগদানের নজির নেই। 

খালেদা জিয়া দুই মেয়াদে ১০ বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদকালে ১৯৯৩ সালে সাধারণ পরিষদের ৪৮তম অধিবেশনে এবং দ্বিতীয় মেয়াদকাল ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ২০০২ এবং ২০০৫ সালে সাধারণ পরিষদের ৫৭ ও ৬০তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তার শাসনামলে বাকী তিন বছর সাধারণ পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমান।



২০০৭ এবং ২০০৮ এ এক এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ফখরুদ্দিন আহমেদ ২০০৭ ও ২০০৮ সালে সাধারণ পরিষদের ৬২ ও ৬৩তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে অংশ নেন। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ২৩ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার তিন মাসের মধ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৫১তম অধিবেশনে যোগদান করতে নিউইয়র্ক আসেন। সে বছর তার এ যোগদান সাধারণ পরিষদের অনির্ধারিত ছিলো বলে জানা যায়। এরপর তিনি ২০০০ সাল পর্যন্ত সাধারণ পরিষদের আরো দুটি অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালের ৫২ তম এবং ১৯৯৯ সালে ৫৪ তম অধিবেশনে অংশ নেন।
এ বছর তিনি নিউইয়র্কের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভায় বাংলাদেশী হিন্দুদের দুই নৌকায় পা না রাখার পরামর্শ দিলে দেশ ও প্রবাসে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।


 শেখ হাসিনা সরকারের প্রথম মেয়াদকালে ১৯৯৮ সালে ৫৩ এবং ২০০০ সালে সাধারণ পরিষদের ৫৫ তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদ। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০০৯ এর ৬ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণের পর একই বছর সেপ্টেম্বরে সাধারণ পরিষদের ৬৪তম অধিবেশনে যোগদান করেন শেখ হাসিনা। সেই থেকে সাংবাৎসরিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে একাদিক্রমে পাঁচবার সাধারণ পরিষদে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর বিতর্কিত নির্বাচনের পর ১২ জানুয়ারী শেখ হাসিনা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সে বছর তার শাসনকালের ৯ মাসের মাথায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৯তম অধিবেশন ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্তর্ভূক্তির চার দশক পূর্তিতে নবম বারের মতো অংশ নেন। 


একটি দেশের সরকার প্রধান হিসেবে ১৩ বার জাতিসংঘে যোগদান নিঃসন্দেহে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ও তার দল আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের বিষয়। সাধারণ পরিষদের দীর্ঘ ৭৬ বছরের ইতিহাসে ১৯৮৬ সালে ৪১তম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন এরশাদের শাসনামলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী। এছাড়া প্রথা মাফিক ফি বছর সাধারণ পরিষদে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে পৌঁছেন। তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে নিউ ইয়র্ক ত্যাগ করবেন এবং সেখানে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন সফর শেষ করে তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। সেখানে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত অবস্থান করবেন এবং অবশেষে ৪ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
--






আরও খবর


Chief Advisor:
A K M Mozammel Houqe MP
Minister, Ministry of Liberation War Affairs, Government of the People's Republic Bangladesh.
Editor & Publisher: A H M Tarek Chowdhury
Sub-Editor: S N Yousuf

Head Office: Modern Mansion 9th Floor, 53 Motijheel C/A, Dhaka-1223
News Room: +8802-9573171, 01677-219880, 01859-506614
E-mail :71sang[email protected], [email protected], Web : www.71sangbad.com