শিরোনাম: |
একজন শিক্ষানুরাগী উপজেলা চেয়ারম্যান
শেরপুর প্রতিনিধি
|
একজন শিক্ষানুরাগী শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ.ডি.শহিদুল ইসলাম। প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০২৩ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সদালাপি ও সদা হাস্যজ্জল চেয়ারম্যান এ.ডি.এম শহিদুল ইসলাম অফিস ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের শত ব্যস্ততার মাঝেও শিক্ষার মানন্নয়নের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ.ডি.এম শহিদুল ইসলাম শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের মাদারপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম ১৯৭১ সালে বঙ্গন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে দেশ মাতৃকার টানে নিজের জীবন বাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। তিনি সুযোগ পেলেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখি করার জন্য, পড়ালেখায় মনোযোগি করার লক্ষে খেলার মাঠে ও শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। এছাড়া, অভিভাবকদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার খোজ খবর নিয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীদের ঝরে পরা রোধে অভিভাবকদের সাথে ও শিক্ষকদের সাথে সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে নিয়মিত আলোচনা করেন। বিদ্যালয়ের সমস্যা ও জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিরসন করেন সামাজিক বৈঠকের মাধ্যমে। মা সমাবেশ ও অভিভাবক সমাবেশে শিশুদের পড়ালেখায় মনোযোগি করার লক্ষ্যে আলোচনা করে থাকেন। শিক্ষক সমাবেশের মাধ্যমে শিশুদের মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে শিক্ষকদের পরামর্শ প্রদান করেন। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখি করার জন্য খেলাধুলার জন্য ক্রীড়া সামগ্রী ও সাংস্কৃতিক সরঞ্জামাদি সরকারি ও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রদান করে থাকেন। এছাড়া, প্রাক প্রাথমিক শিশুদের বিদ্যালয়মুখি করার জন্যও বিভিন্ন শিক্ষামূলক উপকরণ বিতরণ করা হয়। এছাড়া, বেঞ্চ ও অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মানের ব্যবস্থা করেন। এনিয়ে তার সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ। দেশের উন্নয়নকল্পে শিশুদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। আগামী প্রজন্ম যাতে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এটাই আমার অভিলাশ।
|