শিরোনাম: |
ইবির আল হাদিস বিভাগের নতুন সভাপতি ড. ইকবাল
ইবি প্রতিনিধি:
|
![]() প্রজ্ঞাপন সূত্রে, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমানের সভাপতির মেয়াদ গত ১৮ নভেম্বর শেষ হয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম সংবিধির সংশোধিত ১০ (১) ধারা মোতাবেক ১৯ নভেম্বর থেকে পরবর্তী ০৩ (তিন) বছরের জন্য অধ্যাপক ড. আবু নাইম মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনকে বিভাগের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় কর্তৃপক্ষ। এ দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি নিয়মানুযায়ী সুযোগ সুবিধা পাবেন। এ বিষয়ে ড. ইকবাল হোসাইন বলেন, আল হাদীস ও সুন্নাহ ইসলামী শরীয়াতের দ্বিতীয় প্রধান উৎস। এজন্য কুরআন অধ্যয়নের পাশাপাশি হাদিস অধ্যয়ন সমগুরুত্বপূর্ণ। দ্বীনি শিক্ষার অর্থই হলো হাদীস শিক্ষা। বিশেষত কুরআনের অর্থ অনুধাবনে হাদিসের কোন বিকল্প নেই। এজন্য দীর্ঘ কয়েকশত বছর পর্যন্ত দ্বীনি এলেম বলতে শুধু হাদিস শিক্ষাকেই নির্দেশ করে থাকে। এজন্য অনেক মুহাদ্দিস বলেছেন,দ্বীনই হচ্ছে হাদীস।তাদের এই অনুভূতির কারণে যুগ যুগ ধরে তারা হাদীস চর্চায় সময় কাটাতেন। সাহাবি যুগ থেকে অদ্যাবধি হাদীস শিক্ষাকে ইসলামের মৌলিক শিক্ষা হিসেবে গণ্য করা হয়। মূলত হাদিস ওহির দ্বিতীয় প্রধান প্রকার। হাদীসের এ গুরুত্বের কারণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়াতে হাদীস বিভাগ নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি এই বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ও পরবর্তী শিক্ষক হওয়ায় আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। মহান রাব্বুল আলামীনের অশেষ রহমতে আমি অদ্য এই বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব প্রাপ্ত হওয়ায় পূনরায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। তিনি আরও বলেন, হাদীস শিক্ষা দান ও শিক্ষাগ্রহণে আধুনিক শিক্ষা পদ্বতি প্রয়োগ করা প্রয়োজন। এজন্য দরকার ছাত্র শিক্ষক উভয়ের এগিয়ে আসা। আমরা এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমি বিভাগের ছাত্র শিক্ষক সকলের সহযোগীতা কামনা করছি। যাতে করে সহীহ হাদীসগুলো বাংলা ভাষী কম বেশি ২৫ কোটি মানুষের দ্বারে পৌঁছানো সম্ভব হয়। একাজে মহান আল্লাহ আমাদের সংশ্লিষ্ট সকলকে তাওফীক দান করুন। আমীন। উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান দীর্ঘদিন একান্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে সভাপতির দায়িত্ব পালন করায় কর্তৃপক্ষ তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
|