শিরোনাম: |
সওজ ও ঠিকাদারের দুর্নীতি পর্ব-১
লক্ষ্মীপুরে রাস্তা নির্মানে সওজ ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ!!
এ কে এম মাহমুদ রিয়াজ (লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি):
|
সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৪২ কোটি টাকার কাজে চরম অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার ইস্কান্দার মির্জা ও শামীমের বিরুদ্ধে। গোপন সূত্রে জানা যায, সওজের কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে অতি নিম্নমানের কাজ করে যাচ্ছে এ ঠিকাদার। শহর সংযোগ বাজারের দুই পাশে ৬ ফুট করে ১২ ফুট ড্রেন নির্মাণে স্থানে ৩ ফুট করে ৬ ফুটের কাজ চলমান রেখেছে সড়ক বিভাগ।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আঁকা বাঁকা করে ড্রেন নির্মাণের স্বজনপ্রীতি করারও অভিযোগ রয়েছে । রাস্তা প্রশস্তকরনের মেকাডম/সাবগ্রেড ৮০% পাথর ২০ % বালু ধরা থাকলেও ৬০% পাথর ৪০% বালু দিয়ে সাবগ্রেড তৈরী করেন ঠিকাদার। পাথর এবং বালু দিয়ে সাবগ্রেড তৈয়ারীর করার ৪৫ দিন শেষ না হইতে ১৫ দিনের মাথায় তড়িগড়ি করে রাতের আঁধারে প্রাইম কোট দিয়ে ৪৮ ঘন্টা না যেতে ৭ ঘন্টা মাথায় কার্পিটিং এর কাজ শুরু করে ঠিকাদার শামীম। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার মাগরিব নামাজের সময় এ সময় জনমনে প্রশ্ন ওঠে খবর পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা ছুটে আসলে ঠিকাদার ও সড়ক বিভাগের কর্মকর্তার নিমার্ন কাজ বন্ধ রেখে পালিয়ে যায়। এখানেই শেষ নয় এস্টিমেট অনুযায়ী কার্পিটিং করার কথা ছয় ইঞ্চি সেখানে করা হচ্ছে ৪ ইঞ্চি এমন অভিযোগ করেন পথচারী রহিম। রাস্তা প্রশস্তকরনে কথা ছিল ৩৬ ফুট, সেখানে কোথাও করা হচ্ছে ৩১- কোন জয়গায় ৩২, ৩৩, ৩৫ ফুট, এমন অভিযোগ করেন সচেতন নাগরিক রিয়াদ হোসেন। সড়ক জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের কর্মচারীদের যোগসাজশে রাস্তার উপরে ড্রেন নির্মান করারও অভিযোগ রয়েছে। নতুন ড্রেন নির্মাণ না করে পুরাতন ড্রেনের ২০ ফুটের মত নতুন ড্রেনের সংযোজন করে দেয়ার অভিযোগ করেন তমিজউদদীন বাড়ীর স্থানীয় বাসিন্দারা। ঠিকাদার তার নিজ ক্ষমতাবলে এস্টিমিট এর বাহিরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যাক্তি বলেন চুসা ড্রেন ,গাইড ওয়াল ড্রেন নির্মাণে নিম্ম মানের ইটের কণা-বালু দিয়ে কাজ শেষ করে ঠিকাদার ও সড়ক বিভাগ ।যার থিকনেস নেই এখন আস্তর উঠে যাচ্ছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। লক্ষ্মীপুর ইলিশ চত্তর থেকে রামগতি ষ্টেশনের মনামাষ্টার দরজা পর্যন্ত নয়-ছয় করে নির্মাণ কাজটি শেষ করে ঠিকাদার শামীম। নির্মাণ কাজ চলমান অবস্থায় প্রকল্পের বোর্ড ব্যবহার করা হয়নি। পথচারী ও যানবাহন চলাচলের নির্মাণ কাজ চলছে নিরাপত্তা জনিত সাইন র্বোড ব্যবহারের চোখে পড়েনি । লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগ দক্ষিন তেমুহনী থেকে উত্তর তেমুহনী ও ঝুমুর এলাকায় ইলিশ চত্তর থেকে রামগতি ষ্টেশনের মনামাষ্টার এলাকায় পযন্ত সড়ক প্রশস্তকরনের ২০১৯ -২০ অর্থ বছরের প্রায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের নির্মান কাজটি পেয়েছেন ওবায়দুল কাদেরের ভাগিনা নামে পরিচিত ইস্কান্দর মির্জা শামীম । ২০২১ সালে নির্মাণ কাজটি শেষ করার কথা থাকলেও এ পযর্ন্ত ৩ বার প্রকল্পটি পরিবর্তন করা হয়েছে। ২০২৪ সালেও নির্মাণ কাজটি সম্পূর্ণ করতে পারেনি ঠিকাদার ও সড়ক বিভাগ।এতে পথচারী ও যানবাহনের চলাচলের ভোগান্তিরও শেষ নেই এমন দাবি করেন কলেজ ছাত্র আনিসুর রহমান। এদিকে ভূমি অধিগ্রহণে স্বজনপ্রীতি করার অভিযোগ রয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে এমন প্রমাণ রযেছে বাজারের একাধিক স্থানে লাল দাগ দেওয়া চিহ্নিত জায়গাগুলো উচ্ছেদ করেনি সড়ক বিভাগ। সরেজমিনে এনামুল হোসেন বলেন, এই রাস্তায় যে পরিমাণ নিন্মমানের কাজ হচ্ছে তা এর আগে কখনো দেখি নাই। সহকারী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন নির্মাণ কাজের তদারকি করার কথা থাকলেও প্রাইম কোট দেয়ার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না । লক্ষ্মীপুর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন বলেন , প্রাইম কোট দেয়ার ৪৮ ঘন্টা পর কার্পিটিং করার কথা ঠিকাদার যদি না করে থাকে তাহলে সঠিক হয়নি। এসব অনিয়ম নিয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারদের চাপ দেওয়ার পর তারা আগের তুলনায় এখন কাজ ভাল করছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা। অনুসন্ধান চলছে। |